বগুড়ার গাবতলীতে গৃহবধূকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাঁশঝাড়ে বেঁধে রেখে টাকা আদায় করেছে এক দাদন ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় লোকলজ্জা ও ক্ষোভে ওই গৃহবধূর দিনমজুর স্বামী আব্দুল মালেক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মহিষাবান ইউনিয়নের পার রানীরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার মালেকের স্ত্রী রিমা বেগম দাদন ব্যবসায়ী গোলজার রহমান ও তার সহযোগীদের নামে থানায় মামলা করেন। পুলিশ গোলজারকে গ্রেপ্তার করেছে।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে রিমা বেগম গোলজারের কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা ধার নেন। টাকা নেওয়ার সময় দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, চেক বইয়ের দুটি পাতা ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি বন্ধক রাখেন। চার মাসের ব্যবধানে সেই টাকা সুদাসলে লক্ষাধিক হয়েছে দাবি করে পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন গোলজার।
এলাকাবাসী জানান, গোলজারের চাপের কারণে টাকার ব্যবস্থা করতে রিমা গত শনিবার উঞ্চুরখী গ্রামে বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হন। পথে গোলজার ও তার কয়েক সহযোগী রিমাকে রাস্তায় একা পেয়ে ধাওয়া করে। রিমা দৌড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বাঁশঝাড়ে বেঁধে রাখে আসামিরা। এরপর মালেককে টাকা দিয়ে স্ত্রীকে ছাড়িয়ে নিতে বলে। না হলে তার স্ত্রীকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করিয়ে টাকা আদায় করার হুমকি দেয়। রিমাকে বেঁধে রাখার বিষয়টি তার বাবার বাড়ির লোকজন জানতে পেরে রাত ২টার দিকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে তারা মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, স্ত্রীকে বেঁধে রেখে অপমান করায় লজ্জা ও ক্ষোভে ওই রাতেই মালেক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। রোববার সকালে ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামবাসী গোলজার ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
গাবতলী থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, রিমা বেগম মামলা করেছেন। আসামি গোলজার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন