বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। তার আগেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন জামালপুর ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হয়ে ঢাকা বিভাগের পরিচালক পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান। ভোট ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছেন তিনি। বিসিবি নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘রাতের ভোট’-এর সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
বিসিবি নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। তারপরও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনজন। প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ের পরও ছিলেন তিনজনই। অর্থাৎ দুই পরিচালকের বিপরীতে তিনজন প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াই হওয়ার কথা ছিল ঢাকা বিভাগে। কিন্তু আবদুল্লাহ আল ফুয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে বর্জনের ডাকে আপাতত আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে জয়ী বলেও বিবেচিত করা যেতে পারে। যদিও ব্যালটে নাম থাকবে আবদুল্লাহ আল ফুয়াদেরও। তবে কেন এই মুহূর্তে এসে এমন সিদ্ধান্ত! সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাতের ভোট তো...তবু তো ওরা ব্যালট বাক্স ভরেছে, সেটা আলাদা জিনিস। এরা তো সুকৌশলে এমন কাজ করেছে, সেটা (রাতের) ব্যালট বাক্সকেও হার মানিয়ে ফেলেছে।’
জানা গেছে, ই-ভোট বা পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে এরই মধ্যে জেলা বিভাগ ও ক্লাবগুলোর বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ই-ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বহুবার দেখা করতে চেয়েছি, আমার সঙ্গে দেখা করেনি। আমি দরখাস্তও দিতে চেয়েছিলাম যে, ই-ব্যালট ও পোস্টাল ব্যালট শুধু তাদেরই দেবেন, যারা দেশের বাইরে অথবা হাসপাতালে রোগী হিসেবে আছেন। যারা সুস্থ, যারা ঘুরেফিরে খাচ্ছেন, যারা কাউন্সিলর হয়েছেন, যারা হোটেলে বসে আমোদ-ফুর্তি করছেন, তারা কেন ই-ব্যালটে ভোট দেবেন?’ এসব নানা অভিযোগ তুলে ধরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না বলেও মত দেন এই প্রার্থী।
মন্তব্য করুন