এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে টিকে থাকতে হলে জয়ই একমাত্র বিকল্প—হংকং চায়নার বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট ছাড়া কিছু ভাবছেন না বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচ বাংলাদেশ কোচের জন্যও টিকে থাকার লড়াই!
ঢাকায় সাত গোলের পাগলাটে ম্যাচ হারতে হয়েছে ৪-৩ ব্যবধানে। এ হারের পর ‘ক্যাবরেরা হটাও’ স্লোগান জোড়ালো হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই হার বাংলাদেশকে ‘সি’ গ্রুপের তলানিতে ঠেলে দিয়েছে। ওই অবস্থা থেকে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র পথ জয়। যাকে হাভিয়ের ক্যাবরেরা দেয়ালবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র করণীয় হিসেবে উল্লেখ করলেন। ৪১ বছর বয়সী স্প্যানিশ এ কোচের কথায়, ‘আমি মনে করি, আমরা দল হিসেবে এমন জায়গায় পৌঁছে গেছি, সেখান থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে দেয়াল ভেঙে ফেলা। সেটা করতে পারলেই আমরা পরবর্তী স্তরে পৌঁছাতে পারব।’
ম্যাচের আগে নিজ দল সম্পর্কে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘বর্তমান দল এবং ফুটবলারদের বিশেষত্ব হচ্ছে—উদ্যম, আগ্রাসন, প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা। এটিই বর্তমান দলটার দর্শন বা পরিচয়।’ ঢাকার ম্যাচে শেষদিকে হজম করা গোলের কারণে হারতে হয়েছে। সে গোলে অনেকে দায় দেখছেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘নৈপুণ্যের দিক থেকে আমার দৃষ্টিতে মিতুল সেরা ছিল। আপনি কোন দিক থেকে দেখছেন তার ওপর নির্ভর করে বিষয়টা। সে খুবই নির্ভরযোগ্য এবং ধারাবাহিক, বিশেষ করে আক্রমণে সাহায্য করার ক্ষেত্রে। আমাদের জন্য সে একজন অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মতো। গোলপোস্টে সে সবসময় নিরাপদ। আমরা মিতুল মারমার নৈপুণ্য এবং মান নিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।’
ঢাকা ম্যাচের একাদশ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সামিত সোম, জামাল ভূঁইয়া, ফাহমিদুল ইসলাম এবং জায়ান আহেমদ বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে
আসার পর ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে গেছে। তাদের একাদশে রাখার দাবি ক্রমেই জোড়ালো হচ্ছে। এ নিয়ে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া কথাও বলেছেন। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও এ প্রসঙ্গে জামাল ভূঁইয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। জবাবে অভিজ্ঞ এ মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘কে খেলবেন, কে খেলবেন না—এটা কোচদের সিদ্ধান্ত। স্কোয়াডে ২৩ জন খেলোয়াড় আছে, সবাই খেলতে চান। দিন শেষে সিদ্ধান্ত কোচেরই। অবশ্যই আমার আলাদা মতামত আছে, সেটা আমি এখানে বলব না।’
মন্তব্য করুন