সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

১৩০০ নম্বরে ১২৮৫ পেল নিবিড় কর্মকার

এসএসসি পরীক্ষা
১৩০০ নম্বরে ১২৮৫ পেল নিবিড় কর্মকার

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ব্যতিক্রমী সাফল্য পেয়েছে নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিবিড় কর্মকার। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে সে পেয়েছে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৮৫, যা এ বছরের সেরা ফলাফলের মধ্যে অন্যতম। বোর্ড থেকে সেরা শিক্ষার্থীদের কোনো তালিকা করা না হলেও অনেকের মতে এটা সর্বোচ্চ নম্বর।

নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে নিবিড়ের পরিবার। বাবা জীবন কর্মকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, মা রিপা রায় গৃহিণী। পড়ালেখার পাশাপাশি নিবিড়ের আঁকাআঁকির হাতও চমৎকার। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পেয়েছে অনেক পুরস্কার।

নিবিড়ের বাবা জীবন কর্মকার কালবেলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ। প্রত্যেক বাবা-মাই এমন সাফল্য প্রত্যাশা করেন। নিবিড় স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় বেশ ভালো করেছিল। তখন শ্রেণি শিক্ষক ডেকে বলেছিলেন, নাসিরাবাদ স্কুলের ইতিহাসে এমন নম্বর কেউ কখনো পায়নি। তখনই বুঝেছিলাম, ওর ভালো কিছু হবে।’

শুধু স্কুল নয়, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মডেল টেস্টেও অংশ নিয়েছে নিবিড়। বাবা বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রায় সব ভালো স্কুলের ছাত্ররা এসব কোচিংয়ে থাকে। সেখানেও নিবিড় প্রথম-দ্বিতীয় হতো। তখন আমরা নিশ্চিত ছিলাম, সে বোর্ডে দুই থেকে চারজনের মধ্যে নিজের জায়গা করে নেবে।’

তবে সাফল্যের পেছনে কোনো ‘চাপের’ কাহিনি নেই। জীবন কর্মকার বলেন, ‘ওকে কখনোই জোর করিনি। ও নিজের মতো করে পড়ত। কখনো পড়ত, কখনো গেম খেলত। এমনকি পরীক্ষার সময়ও মোবাইল গেম খেলেছে। আমরা শুধু পাশে থেকেছি।’

নিবিড় কর্মকার কালবেলাকে বলেয়, দিনে গড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পড়তাম। তবে সময় যতই কম হোক, আমি মন দিয়েই পড়তাম।’

নিবিড়ের মা রিপা রায় বলেন, ‘ওর ওপর কখনোই চাপ দিইনি। বরং ও যেভাবে নিজে আগ্রহ দেখিয়েছে, আমরা কেবল সঙ্গ দিয়েছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি রচনা প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াড—সব কিছুতেই ছিল ওর অংশগ্রহণ।’

নিবিড়ের এমন সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। তাই তো ফলাফল ঘোষণার পর ফুল নিয়ে নিজেদের সেরা ছাত্রকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে গেছেন নিবিড়ের বাসায়। শিক্ষকরা জানান,

নিবিড়ের মতো মনোযোগী শিক্ষার্থী খুব কমই পাওয়া যায়।

প্রধান শিক্ষক আবদুর রহমান বলেন, ‘ও খুবই ভদ্র, দায়িত্বশীল। আমরা তাকে নিয়ে বেশ আশাবাদী।’

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী জানান, এ বছর আলাদা করে কোনো মেধাতালিকা তৈরি করা হয়নি। তবে নিবিড়ের ফল নিঃসন্দেহে অসাধারণ।

নিবিড়ের স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়া। তার চাওয়া, ভবিষ্যতে এমন কিছু করবে, যাতে মানুষের উপকারে আসতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

অধ্যাপক ব্রজ গোপাল বৈষ্ণবের পরলোকগমন

নৌবাহিনীর দায়িত্বে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে গড় কনটেইনার হ্যান্ডলিং

তপশিলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত

১০

সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম

১১

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো : বিশ্বব্যাংক

১২

শাহবাগের ‘প্রজন্ম চত্বর’ স্থাপনাটি ভেঙে দিয়েছে সিটি করপোরেশন

১৩

বিএনপির দুপক্ষে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

১৪

গণঅভ্যুত্থানের পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ 

১৫

দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

১৬

চাঁদা না দিলে পদকপ্রাপ্ত চা চাষিকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

১৭

নিহত সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি, খুনিদের ফাঁসির দাবি

১৮

৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি : তিন আসামি কারাগারে 

১৯

স্ত্রী বারবার প্রেমিকের সঙ্গে পালান, তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর

২০
X