চট্টগ্রাম-৬ আসনের (রাউজান) সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ফজলে করিম চৌধুরী তার অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রেখে এবং সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অনুসন্ধানকালে ফজলে করিম চৌধুরীর নামে ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ, ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২৪ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার ঋণ বা দায়-দেনার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আয়কর নথি পর্যালোচনায় তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ রেকর্ডপত্রের আলোকে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের তুলনায় ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ বেশি পাওয়া গেছে।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।
মন্তব্য করুন