সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক হাঁকডাক, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রোজার এক দিন আগে আরও বেড়েছে কাঁচামরিচ, শসা, বেগুন, লেবু, ধনে পাতা ও আপেল-কমলা থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। মাসখানেক আগেই বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, ডিম, মাছ ও মাংসের দাম। এ ছাড়া সুবিধা দিলেও কমেনি চিনি, চাল ও খেজুরের দাম। প্যাকেট চিনির কেজি ১৪৫ টাকা, আর খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থাকে ১৫০ টাকায়। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারে ১০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬৩ টাকায়।
আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আমাদের দেশে। এ কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ ও শসার কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকার বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, ৩০ থেকে ৪০ টাকার লেবুর হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ১০ টাকায় বিক্রি হওয়া ১০০ গ্রাম ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ২০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে সপ্তাহ-দশ দিনের ব্যবধানে আমদানি করা ফল আপেল (সবুজ-লাল) কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০০ টাকার কমলার কেজি আড়াইশ টাকায় উঠেছে। মালটার কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, আঙুরের কেজি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ইফতারের প্রধান উপকরণ খেজুর মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও রোজা উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে।
নিউমার্কেট এলাকার ফল ব্যবসায়ী আব্দুল্লা বলেন, আমদানি ফলের দাম সব সময় বেশি থাকে। রোজা সামনে রেখে দাম আরও বেড়েছে। পরিচিত কাস্টমারদের কাছ থেকে বেশি দাম রাখতে কষ্ট হয়। কিন্তু না রাখলে নিজের লোকসান।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে কিছুদিন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় কেনা গেলেও এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে হাড়সহ প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ৮০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা। মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, খামারিরা কোরবানির প্রস্তুতি শুরু করায় বাজারে গুরুর সরবরাহ কম। ফলে দাম বেড়েছে। লোকসান মেটাতে মাংসের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। কোনো কোনো বাজারে ব্যবসায়ীরা ছোট ব্রয়লারের দাম (এক কেজি) ২৫০ টাকা লিখে রাখছেন। প্রতি হালি ফার্মের ডিম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি মসুর ডাল মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ৯০ থেকে ১০০ টাকার খেসারির কেজি এখন ১২০ টাকা, দুই মাস আগে ১৪০ টাকা বিক্রি হওয়া মুগ ডাল পর্যায়ক্রমে ১৭০ টাকা অতিক্রমে করে দুদিন ধরে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।