কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০১ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা গাইবান্ধার মানুষ

পদ্মায় ফেরি চলাচল ব্যাহত
তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা গাইবান্ধার মানুষ

গেল কয়েকদিন টানা পানি বাড়ায় তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে পদ্মা নদীতে। এতে ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পারাপারে লাগছে দ্বিগুণ সময়। এদিকে, গাইবান্ধায় বেশ কিছু উপজেলায় নতুন করে তিস্তা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে পানিবন্দি অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধসহ উঁচু স্থানে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রে তথ্য অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি কমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পদ্মার পানি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্যুরো অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।

পদ্মায় তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত : পানি বাড়ার ফলে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে পদ্মায়। এতে ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই পদ্মার পানি বাড়ছে। স্রোতের কারণে অনেকদূর ঘুরে আসতে হচ্ছে বলে ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগছে। তবে এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

ঢাকামুখী যাত্রী রেবেকা খাতুন কালবেলাকে বলেন, পানি বাড়ার নদী পার হতে সময় বেশি লাগলেও ঘাটে তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। রুমি আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, নদীতে এত স্রোত যে ভয় লাগছে।

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা সুন্দরগঞ্জের মানুষ:

গেল বছর গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর ভাঙন কম থাকলেও ভারি বর্ষণে এ বছর কয়েকটি এলাকায় তা বেড়েছে। সুন্দরগঞ্জের বেলকা, হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সেখানকার পাঁচ শতাধিক পরিবার। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের পাশাপাশি নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণি। এতে হরিপুরের পাড়াসাদুয়া, কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার ও ভাটি কাপাসিয়া চরাঞ্চলের বসতভিটা ও পাটক্ষেতে পানি ঢোকায় দিশেহারা ওই এলাকার মানুষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের ভাঙনে ভাটি কাপাসিয়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘরসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শিগগির কোনো পদক্ষেপ না নিলে কয়েকদিনের মধ্যেই অন্তত ২০০ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন, এলাকাগুলো ঘুরে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক কালবেলাকে জানান, জেলায় ১৬৫টি চরাঞ্চল রয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মদ পানে মহা সর্বনাশ, ৬ জনের মৃত্যু

বড় ভাই মির্জা ফখরুলের মতোই কবিতা দিয়ে শুরু করলেন মির্জা ফয়সল

সোনারগাঁয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

মা ইলিশ রক্ষায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির মাদকবিরোধী আলোচনা সভা

নিউমার্কেটে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

১০

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

১১

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

১২

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

১৩

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

১৪

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

১৫

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১৬

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১৭

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১৮

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৯

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

২০
X