গেল কয়েকদিন টানা পানি বাড়ায় তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে পদ্মা নদীতে। এতে ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পারাপারে লাগছে দ্বিগুণ সময়। এদিকে, গাইবান্ধায় বেশ কিছু উপজেলায় নতুন করে তিস্তা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে পানিবন্দি অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধসহ উঁচু স্থানে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রে তথ্য অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি কমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পদ্মার পানি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্যুরো অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
পদ্মায় তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত : পানি বাড়ার ফলে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়েছে পদ্মায়। এতে ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই পদ্মার পানি বাড়ছে। স্রোতের কারণে অনেকদূর ঘুরে আসতে হচ্ছে বলে ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগছে। তবে এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকামুখী যাত্রী রেবেকা খাতুন কালবেলাকে বলেন, পানি বাড়ার নদী পার হতে সময় বেশি লাগলেও ঘাটে তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। রুমি আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, নদীতে এত স্রোত যে ভয় লাগছে।
তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা সুন্দরগঞ্জের মানুষ:
গেল বছর গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর ভাঙন কম থাকলেও ভারি বর্ষণে এ বছর কয়েকটি এলাকায় তা বেড়েছে। সুন্দরগঞ্জের বেলকা, হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সেখানকার পাঁচ শতাধিক পরিবার। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের পাশাপাশি নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণি। এতে হরিপুরের পাড়াসাদুয়া, কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার ও ভাটি কাপাসিয়া চরাঞ্চলের বসতভিটা ও পাটক্ষেতে পানি ঢোকায় দিশেহারা ওই এলাকার মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের ভাঙনে ভাটি কাপাসিয়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘরসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শিগগির কোনো পদক্ষেপ না নিলে কয়েকদিনের মধ্যেই অন্তত ২০০ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন, এলাকাগুলো ঘুরে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক কালবেলাকে জানান, জেলায় ১৬৫টি চরাঞ্চল রয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন