কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। যেটি নির্মাণ করেছেন আদনান আল রাজীব। ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমার আজ দুটি শো প্রদর্শিত হবে। প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ আসরে এসে আনন্দিত রাজীব ‘আলী’ নিয়ে কানে কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ আসরে উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে আদনান আল রাজীব পরিচালিত ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমাটি।
প্রথমে প্রযোজক, এবার পরিচালক হয়ে কানে এলেন। বিষয়টি কেমন উপভোগ করছেন?
খুবই ভালো লাগছে। দারুণ সময় কাটছে আমাদের ‘আলী’ টিমের। প্রথমবার আমি সহকারী প্রযোজক হয়ে এলেও এবার নিজের নির্মাণ নিয়ে এসেছি। তাই এবারের কান যাত্রাটি আমার কাছে অনেক স্পেশাল। এর মধ্যে আজকে ‘আলী’ সিনেমার দুটি শো প্রদর্শিত হবে। তাই শো শেষে সবার অনুভূতি জানার জন্য অপেক্ষায় আছি।
‘আলী’ দেশের প্রথম কোনো সিনেমা, যেটি কানের অফিসিয়াল সিলেকশনের ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা’ বিভাগে বিভিন্ন দেশের সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এই অর্জন নিয়ে কী বলবেন...
ব্যক্তিগত জায়গা এবং নির্মাতা হিসেবে এটি আমার সর্বোচ্চ অর্জন। এরপর বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরে নিজের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্বাচিত হওয়ার যে অনুভূতি, তা আসলে কখনোই বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে আমি খুবই আনন্দিত এবং ধন্যবাদ আমাদের গোটা টিমকে। যাদের প্রতি বিশ্বাস করার জন্যই আজ ‘আলী’ টিম কান সমুদ্রসৈকতে।
দেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিক্রির কোনো মার্কেট নেই। তাই নির্মাণের শুরুতেই আর্থিক কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় আপনাকে?
অবশ্যই, এটি সত্যি যে স্বল্পদৈর্ঘ্য বা শর্টফিল্ম বিক্রির কোনো বাজার নেই দেশে। তাই চাইলেই কেউ আপনাকে ইনভেস্ট করবে না। তাহলে এই সিনেমা বিক্রি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোনো না কোনো উৎসবে যেতে হবে। সেটি মাথায় নিয়েই আমরা সিনেমাটি সবাই মিলে করেছি। তবে মজার বিষয় হলো, কান চলচ্চিত্র উৎসব মাথায় নিয়ে ‘আলী’ নির্মাণ করা হয়নি। তাই এখানে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
এরপর শুটিংয়ে কী কী চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে?
শুটিং শুরুর আগের বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ প্রথমে আমরা লোকেশন খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এরপর লোকেশন খুঁজে পেলেও কিছু জায়গায় শুটিং করতে বাধা ছিল, সবকিছু মিলিয়ে কাজটি এ জায়গায় পৌঁছানোয় আমরা আনন্দিত।
উৎসবের সমাপনী দিনে দেওয়া হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগের পাম দ’র পুরস্কার। আলী নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
এ প্রতিযোগিতার জন্য গোটা বিশ্ব থেকে চার হাজার সাতশর বেশি সিনেমা জমা পড়ে। সেখান থেকে মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা পাওয়া মানেই হচ্ছে আমার কাছে বড় পুরস্কার। এরপর আর প্রত্যাশার কিছু নেই।
মন্তব্য করুন