ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বৈদেশিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবার ৭২ শতাংশ পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানেই পরীক্ষার্থীরা ইংরেজি মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
রাজধানী শহর আবুধাবিতে একমাত্র বাংলাদেশি কম্যুনিটি স্কুল শেখ খালিফা বিন যায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে; রাস আল খাইমাহ স্কুল ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১ জন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কিরণ আখতার জানান, তার স্কুলের ৫১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জন জিপিএ ৫, ১৬ জন ‘এ’ , ৯ জন এ ‘মাইনাস’, ৬ জন ‘বি’ গ্রেড এবং ৩ জন ‘সি’ গ্রেড পেয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন। পাসের হার ৭২ শতাংশ। বিগত এসএসসি পরীক্ষায় তার প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ জিপিএ ৫ না পাওয়ায় কমিউনিটিতে স্কুলের শিক্ষার মান নিয়ে কথা উঠেছিল। এবার ৪ জন জিপিএ ৫ পেলেও অকৃতকার্য ১৩ জন হওয়ায় অভিভাবকরা হতাশ হয়েছেন।
শিক্ষক সংকটের কারণে ফল খারাপ হচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শিক্ষক সংকট তো রয়েছেই। আমরা ভালো বাংলা শিক্ষক পাইনি। শিক্ষার্থীদের বাংলা শিখতে হচ্ছে ভারতীয় শিক্ষকদের কাছে। কিছু শিক্ষার্থীকে আমরা অ্যালাউ করতে চাইনি। অভিভাবকদের চাপে পড়ে করতে হয়েছে। এর ওপর নিয়মিত শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এবার আশানুরূপ ফল করা যায়নি।
অন্যদিকে উত্তর আমিরাতের অঙ্গরাজ্য রাসাল খাইমাহর বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবু তাহের মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানান, তার প্রতিষ্ঠান থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৯ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে পাস করেছে ২১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৮ জন। জিপিএ ৫ পায়নি কেউ, জিপিএ ৪ পেয়েছে ১১ জন। বিজনেস স্টাডিজে ৮ জন এবং সায়েন্সে ১৩ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৭২ শতাংশ।
পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হওয়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি শিক্ষক স্বল্পতাকে দায়ী করেন।
তবে উভয়ই প্রতিষ্ঠানের শিকক্ষরা ভবিষ্যতে তাদের প্রতিষ্ঠানের ফল আরও সন্তোষজনক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মন্তব্য করুন