কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি : নজরুল ও বঙ্গবন্ধু’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠান হয়। ছবি : কালবেলা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠান হয়। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে মাসব্যাপী আয়োজন ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ়প্রত্যয়’-এর অংশ হিসেবে ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি : নজরুল ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক অনুপম হায়াত।

আলোচনায় তিনি বলেন, ‘নজরুল এক অপরিমেয় সত্তার অধিকারী, তিনি শোষিত, লাঞ্ছিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। নজরুল ও বঙ্গবন্ধু পারস্পরিকভাবে বাঙালির সঙ্গে মিশে আছে। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা ও গল্পে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, বাংলা ভাষা থাকবে ততদিন এই দুই মহান নেতা নজরুল ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে বেঁচে থাকবেন।‘

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কাজী নজরুল কবিতা, গান, সাহিত্যের মাধ্যমে বাঙালির জন্য প্রতিবাদ করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের পক্ষে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি। বাংলাদেশে কবিকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলের সাহিত্য দ্বারা উজ্জীবিত হতেন।’ ‘বাংলা বাঙালির হোক, বাঙালির জয় হোক’ নজরুলের এই বক্তব্য থেকে বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ বাঙালির মুক্তির শ্লোগান উচ্চারণ করেছিলেন বলে যুক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে আমরা সার্বিকভাবে এই গুণী মানুষদের স্মরণ করি এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের দেশপ্রেম ও চিন্তা-চেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হবে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

পরে আলোচনা পর্বের শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় সমবেত সংগীত, একক সংগীত, সমবেত শিশু সংগীত, সমবেত নৃত্য ও কবিতা পাঠে স্মরণ করা হয়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও জাতির পিতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু-কিশোর সংগীতদল। বিধান মিত্রের ‘কিছুই হতে পারিনি (বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা)’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন গোলাম সারোয়ার। ‘ধৈর্য, দাও শৌর্য’ সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির শিশু কিশোর সংগীত দল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাশকূর-এ-সাত্তার কল্লোল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপাকে ভারত, পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করছে তুরস্ক

সাধারণ যানবাহনের সঙ্গেই ছিল জুবাইদার গাড়ি

মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে ঢাকায় মার্চ : নাহিদ

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হেফাজতের যে আহ্বান

এবার ভারতের স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

শাহবাগে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে শিবির

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

আবদুল হামিদের পালানো নিয়ে তারেক রহমানের মন্তব্য

মুচলেকায় মুক্তি পেল ৯৩ জেলে  / জব্দ করা ৬১৫ কেজি ইলিশ গেল এতিমখানায়

১০

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১১

‘স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ মানুষের ভালো থাকার জন্য হতে হবে’

১২

ভারতে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ

১৩

লুকিয়ে রাখা ২৯ কেজি ওজনের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ 

১৪

হাসনাতের ফেসবুক পোস্টে ৩ দাবি

১৫

যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে মাঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

১৬

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জবি শিক্ষার্থী ৩ দিনের রিমান্ডে

১৭

মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে ‘সোনারগাঁ’ : মামুনুল হক

১৮

‘এ দেশে আ.লীগের নেতাকর্মীদের ভাত নেই’ 

১৯

ফিল্ম আর্কাইভে জাতীয় চলচ্চিত্র সংসদের সম্মেলন

২০
X