স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পালমার শেখালেন কখনো কখনো ছেড়ে যাওয়াটাই উত্তম

কোল পালমার। ছবি : সংগৃহীত
কোল পালমার। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিশ ডিগ্রির ওপরে গরমেও শীতল সেলিব্রেশনে মগ্ন পালমার। অপ্রতিরোধ্য পিএসজিকে মাটিতে টেনে নামিয়ে প্রমাণ করলেন, কেন তাকে লোকে কোল্ড পালমার বলে ডাকে। আইস কোল্ড পালমার কিন্তু এক দিনে তৈরি হয়নি। বয়স আর কত! সবে ২৩, তবে এর মধ্যেই দেখে ফেলেছেন অনেক চড়াই-উতরাই। ব্যর্থ ভালোবাসাকে পেছনে ফেলেই এখন উড়ছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।

মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকেই ম্যানসিটির ইয়ুথ একাডেমির হয়ে খেলেছেন তিনি। প্রিয় দলটির হয়ে মাতাতে চেয়েছিলেন মাঠ। তবে অবহেলা, অনাদরেই যেন বেড়ে উঠেছেন ক্লাবে। যখন তার বয়সীরা অনূর্ধ্ব-২১-এর দলে নিয়মিত খেলছিল, তখনো তাকে সিটি খেলিয়ে গিয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮ তেই। পরে প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে মূল দলে সুযোগ পেলেও স্থায়ী হতে পারেননি। মাহারেজ, ডি ব্রুইনাদের ভিড়ে পালমারের কি আর জায়গা হয়!

তবে আশা হারাননি পালমার। যতটুকু পেরেছেন নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছেন। তবে তাকে ৫ সিজনে মাত্র ৪১ ম্যাচে সুযোগ দিয়েছিলেন গার্দিওলা। তবে আশ্বস্ত করেছিলেন, মাহারেজ চলে গেলে তখন হয়তো আরও সুযোগ পাবেন পালমার। তবে, এবারে আর বাঁধ মানল না, নিজের ওপর ভরসা রাখলেন পালমার। সাফ জানিয়ে দিলেন, নিয়মিত খেলতে চান তিনি। ছেড়ে গেলেন নিজের শৈশবের ক্লাব। যখন চেলসিতে যোগ দিলেন, প্রিমিয়ার লিগে তখন ধুঁকছিল ব্লুসুরা। ছিল টেবিলের ১২ নম্বর পজিশনে।

সেখান থেকেই হয়ে উঠলেন চেলসির ত্রাতা। একের পর এক ম্যাচ আর পালমার ম্যাজিকে চেলসি আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে। ক্লাবটির হয়ে এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ৪৩ গোল, ২৯ অ্যাসিস্ট। ব্যর্থতা, প্রত্যাখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এখন পুরো বিশ্বে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখছেন এই তরুণ।

গল্পটা কি কোনো কিংবদন্তির সঙ্গে মিল পাচ্ছেন? জি, ডি ব্রুইনাও ছিলেন চেলসি রিজেক্ট, পরে সিটিতে এসে হয়ে গেছেন প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ফুটবলার। পালমারও কি এগোচ্ছেন সেদিকেই?

পিএসজি দলটা ছিল অপ্রতিরোধ্য, একটা সিস্টেম। একটা সিস্টেমিক মেশিনকে ভাঙতে প্রয়োজন ইন্ডিভিজুয়াল ব্রিলিয়ান্স। এনরিকের মেশিনের সামনে এবার পড়েছিল এক উদ্যমী, রগচটা, রিজেক্টেড এক ম্যাজিকম্যান। পিএসজিকে ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলে দিলেন, দুমড়েমুচড়ে দিলেন পিএসজির দম্ভ।

অথচ এখনো ম্যানসিটিতে পড়ে থাকলে হয়তো এসবের কিছুই করা হতো না তার। তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে মূল্যায়ন নেই সেটা যত বড় বা পারফর্মিংয়ের জায়গাই হোক না কেন, নিজের ভালোর জন্য কখনো কখনো সরে দাঁড়ানোটাই সেরা সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়। হোক সেটা প্রেম, ভালোবাসা, আবেগ বা কর্মস্থল। ২৩ বছরের পালমারই যেন সেটাই আরও একবার শিখিয়ে গেলেন পুরো বিশ্বকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ বুধবার

সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা

‘বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে’

একই অভিযোগে এনবিআরের আরও ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

কুয়েটে বিধিবহির্ভূত নিয়োগ, তদন্তে ইউজিসি

‘তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে’

জোটে ভাঙন, ইসরায়েলে পতনের মুখে নেতানিয়াহুর সরকার

মোদিকে আম পাঠানোর প্রশ্নের জবাব দিলেন প্রেস সচিব 

ব্যবসা সম্প্রসারণে কমলো নীতি সুদহার

মার্কিন শুল্কনীতি নিয়ে কাজ করবে বিএনপি : আমীর খসরু 

১০

স্বাচিপ নেতাকে বিভাগীয় প্রধান করতে হাসপাতাল পরিচালককে চাপ

১১

ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে টিকটক করায় যুবকের কারাদণ্ড

১২

ভূমি অফিসের নথিপত্রের ছবি তোলার সময় আ.লীগ নেতা ধরা

১৩

দরপতন ঠেকাতে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

১৪

প্রিয় মানুষের সঙ্গে একটা দিন অযথাই বকবক করতে চান চমক

১৫

চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘দেয়ালের দেশ’

১৬

পরীক্ষার সিটে বসা নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ১৮

১৭

১০ হাজার বাস রিজার্ভ, রাজধানীতে ঐতিহাসিক সমাবেশের প্রস্তুতি জামায়াতের

১৮

১৪ হাজারে বিক্রি হলো দুই ইলিশ

১৯

মুজিববাদী আদর্শ ৫০ বছর ধরে দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিল : নাহিদ ইসলাম 

২০
X