বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় সব সদস্য দেশের উপস্থিতিই প্রত্যাশা করছেন তিনি।
ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও, বিসিবি সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন—সভা ঢাকাতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং আয়োজনে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল হলো এশিয়ার ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা। আমরা আগে কখনো এই রকম বড় সভার আয়োজন করিনি। এবার আমরা ২৩ জুলাই একটি অফিশিয়াল ডিনার ও ২৪ জুলাই বার্ষিক সভা করব ঢাকায়, যেখানে প্রায় সব দেশ অংশ নেবে,’ —সাংবাদিকদের বলেন আমিনুল ইসলাম।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রতিনিধিরা সভায় যোগ দেবে কি না—তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমনকি কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, সভার ভেন্যু ঢাকা থেকে দুবাইয়ে স্থানান্তরের সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে বিসিবি সভাপতি এমন সব জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছুই চলছে। এ পর্যন্ত আয়োজনে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়নি। সময়মতো সবাইকে বিস্তারিত জানানো হবে।’
সূত্র মতে, যদি ভারত থেকে কোনো প্রতিনিধি সরাসরি উপস্থিত না থাকতে পারেন, তারা অনলাইনেই সভায় যুক্ত হবেন।
আলোচনায় ছিল সাকিব আল হাসানের ভবিষ্যৎ নিয়েও। একাধিক আইনি জটিলতায় জড়িত এই অলরাউন্ডারের জাতীয় দলে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে বিসিবি সভাপতি জানালেন, সাকিব এখনো সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেননি এবং তার খেলার পথ এখনো বন্ধ হয়নি।
‘সাকিব এখনো বাংলাদেশের জন্য খেলার জন্য উপলব্ধ। আমি এখনো ওর সঙ্গে কথা বলিনি। তবে কথা বলব এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,’—বলেন আমিনুল।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে নির্বাচকদের। আমি বোর্ড চালাই, দল নির্বাচন করি না। সাকিবের বিষয়টিও নির্বাচকরাই দেখবেন।’
আমিনুল ইসলাম মনে করেন, এই সভা আয়োজন করা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি বড় অর্জন।
‘আমরা আগে কখনো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বড় কোনো সভা হোস্ট করিনি। এবার সেটা করতে পারাটা দেশের ক্রিকেটের জন্য গর্বের বিষয়।’
২৪ জুলাইয়ের সেই সভায় ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানসহ এশিয়ার প্রায় সব ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে প্রত্যাশা বিসিবির। আর সাকিব ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে নির্বাচকদের আলোচনার ভিত্তিতে—তবে বোর্ড সভাপতি জানিয়ে রাখলেন, দরজা এখনো খোলা।
মন্তব্য করুন