কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাংস্কৃতিক ঐক্যই হতে পারে জুলাই বিপ্লবের হাতিয়ার

‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত’ সেমিনারে আলোচকরা। ছবি : কালবেলা
‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত’ সেমিনারে আলোচকরা। ছবি : কালবেলা

সেমিনার ও কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদযাপন করল কবিতা বাংলাদেশ। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার হলে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, মানবিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক ঐক্যই হতে পারে জুলাই বিপ্লবের পাহারাদার।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক শাহীন হাসনাত। প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান।

ড. ফজলুল হক তুহিনের পরিচালনায় সেমিনারে আলোচনা করেন ড. মাহবুব হাসান, কবি জয়নুল আবেদীন আজাদ ও ড. ইয়াহইয়া মান্নান।

সেমিনারের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা যা বিশ্বাস করে আচরণ করি সেটাই সংস্কৃতি আর যেভাবে জীবন যাপন করি সেটাই সভ্যতা। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আমাদের বিশ্বাস বা ধর্মমগ্নতা থেকেই আমাদের সংস্কৃতি বিকশিত। এই সংস্কৃতির বন্ধনই আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে দিয়েছে। মানবিক সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ধরে রাখতে না পারলে এই ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই আমাদের ইনসাফ পূর্ণ সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত গড়ে তুলতে হবে।

প্রবন্ধ আলোচনায় ড. মাহবুব হাসান বলেন, হাজার বছর আগেই আমরা যে সাংস্কৃতিক চৈতন্য ধারণ করেছি তা ইউরোপীয় সংস্কৃতি থেকে এগিয়ে। আমাদের চারপাশে অমুসলিম দেশ। তাই আমাদের ধর্মবিশ্বাস ও স্বতন্ত্র জাতিসত্তা বজায় রাখতেই আলাদা স্বাধীন দেশ গড়ে তুলেছি।

কবি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব জয়নুল আবেদীন আজাদ বলেন, বিজ্ঞান প্রযুক্তিও বন্দেগীর কাজ; সৃষ্টি জগতকে ধারণ করবে বান্দারা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সৃষ্টিশীল করেছে। সংকীর্ণতার নয় আমাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করতে হবে। ত্রুটিধর নয় সংশোধন ও মানবিকতাই হোক আমাদের নতুন সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত।

অনুষ্ঠানের শেষে তিনটি পর্ব ছিল কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ। প্রথম পর্বে সভাপতি ছিলেন কবি মোশাররফ হোসেন খান, অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, কবি শরীফ আবদুল গোফরান, কবি ইব্রাহিম মণ্ডল প্রমুখ। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন কবি সোলায়মান আহসান। অতিথি ছিলেন কবি নাসির হেলাল, কবি ও গবেষক সায়ীদ আবুবকর, কবি জাকির আবু জাফর, কবি মৃধা আলাউদ্দিন, কবি মনসুর আজিজ ও কবি মালেক মাহমুদ। তৃতীয় পর্বের সভাপতি ছিলেন কবি হাসান আলীম। অতিথি ছিলেন কবি সাইফুল্লাহ শিহাব, কবি কামরুজ্জামান, কথাশিল্পী মঈন শেখ, গবেষক ড. সায়ীদ ওয়াকিল প্রমুখ।

পুরো অনুষ্ঠানটি তত্ত্বাবধান করেন কবিতা বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসি কারও কথায় চলে না, ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে সিইসি

সাবেক বৈষম্যবিরোধী নেতা নিখোঁজ, সরকারকে দুষলেন হাসনাত

নির্বাচন নিয়ে ক্রিকেটারদের একইরকম স্ট্যাটাস, কারণ কী

দরিদ্রের চাল যাচ্ছে স্বচ্ছলদের ঘরে, ভিডব্লিউবি কার্ডে অনিয়মের অভিযোগ

২১ ফুট উচ্চতার বিশ্বরূপ দুর্গা প্রতিমা

সাবেক এমপি কবিরুল ৬ দিনের রিমান্ডে 

চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন, তবে...

খুশিকে খুশি করতে লাগবে দেড় লাখ!

শাহরুখ স্যারের সঙ্গে করমর্দনের পর হাত ধুইনি : প্রকৃতি মিশ্র 

১০

তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, জানালেন জাহিদ হোসেন

১১

প্রথমবার ট্রেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত (ভিডিও)

১২

ইয়াবার বিনিময়ে দেশ থেকে সার ও ওষুধ পাচার হয় : কৃষি উপদেষ্টা

১৩

রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, খেলা দেখবেন যেভাবে

১৪

আইএসইউতে এসআইসিআইপির দুই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৫

কটাক্ষের শিকার দেব

১৬

এই ৫ বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছেন? মুহূর্তেই আপনার এসিতে বিস্ফোরণ হতে পারে

১৭

পতিত ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে কাজ করছে জামায়াত : রিজভী

১৮

নাসা গ্রুপে শ্রমিক অস্থিরতা সৃষ্টিকারী নেপথ্যের মূলহোতা গ্রেপ্তার

১৯

আন্দোলনে উত্তাল ভারতের লাদাখ, কারফিউ জারি

২০
X