ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০২৩।
আজ রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়। উৎসবে বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় ১৫টি বাংলা নাটক মঞ্চস্থ হবে।
আয়োজকরা জানান, আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাট্যোৎসব উদ্বোধন করবেন। যা ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ৯ দিনব্যাপী এ উৎসব প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে টিএসসি মিলনায়নে শুরু হবে। এ নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। ইতোপূর্বে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন সেলিম আলদীন, ফেরদৌসী মজুমদার, সৈয়দ শামসুল হক, আলী যাকের, আতাউর রহমান, রামেন্দু মজুমদার ও আসাদুজ্জামান নূর।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী তামান্না হক সিগমা বলেন, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ জ্ঞানচর্চা, সৃষ্টিশীলতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে। অন্যদিকে বাঙালির আত্মপরিচয় বিনির্মাণে সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ এবং বৈচিত্র্যময় মানবজীবনে দেহ ও আত্মার স্বরূপ অন্বেষণেও আমরা সচেতনভাবে আগ্রহী। মানব মনের সৌন্দর্য, উপলব্ধি ও অগ্রন্থিত অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম ক্ষেত্র শিল্প। এই শৈল্পিক প্রকাশে অনুভব ও অনুশীলন দ্বারা অধিগত সৃজনের এক নান্দনিক উপস্থাপন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব।
তিনি আরও বলেন, এবারের ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব বিশেষভাবে অনন্য। কেননা কেবল বাংলা নাটক নিয়ে এই নাট্যোৎসবের বিন্যাস করা হয়েছে। নাট্যোৎসবে বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের ১৫টি নাটক মঞ্চায়িত হবে। শিক্ষার্থী নির্দেশকরা উৎসবে তাদের সৃজনশীলতা ও অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করবে। উৎসবে বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে নাট্যজন সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় মামুনুর রশীদের অবদান স্মরণ করে এই সম্মাননা- তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ঐতিহ্য ও পরম্পরার নন্দন দোলায় স্নাপিত সৃজনশীল অভিব্যক্তি কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব। শিল্প ও জ্ঞানের এই মিথস্ক্রিয়া বহুকাল সমুজ্জ্বল থাকবে বলে বিশ্বাস করি।
মন্তব্য করুন