বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় নাকি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, হায়রে বিশেষজ্ঞ। আপনারা দেখেছেন, একটা স্যুটকেস নিয়ে কিছুদিন পরপর বাংলাদেশে আসত। ওই স্যুটকেসে কী নিয়ে আসত? খালি স্যুটকেস নিয়ে আসত, আর টাকা ভরে নিয়ে যেত। জয় আমেরিকার শীর্ষ ধনীদের একজন, বিশ্বের নামকরা দামি গাড়িতে চড়ে। শেখ হাসিনার বোন রেহানাও হাজার হাজার কোটি টাকা মেরেছে, শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলও তাই করেছে।’
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকায় এ সম্মেলন হয়।
এ সময় সোহেল বলেন, আমরা যখন কোনো প্রোগ্রাম ঘোষণা করতাম, আওয়ামী লীগ তখন শান্তি সমাবেশ করত। এ এমনই এক শান্তি, শুনলেই মাথা খারাপ হয়, অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে। যেমন পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে অশান্তির আগুন জ্বালানো হয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজে বলেছেন, তার পিয়ন নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক! হেলিকপ্টার ছাড়া চলেন না। পিয়ন যদি ৪০০ কোটি টাকার মালিক হন, তাহলে শেখ হাসিনা কত কোটি টাকার মালিক! শেখ হাসিনা ইন্ডিয়ায় বসে চুরি করা টাকা খরচ করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনার পরিবারের সবাই এবং দলের সব নেতাকর্মী দেশের টাকা চুরি করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন।
সোহেল বলেন, দেশের লাখ লাখ কোটি টাকা মেরে দিয়ে শেখ হাসিনার পরিবার, দলের নেতারা সব পালিয়ে গেছেন। রাতের অন্ধকারে দুই-চারজন মিলে মিছিল করেন পালিয়ে পালিয়ে। আগে আমাদের বলত আমরা নাকি পালিয়ে থাকি, আমরা পালিয়ে দেশত্যাগ করিনি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সোহেল বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শ বিক্রি করে কেউ অপকর্ম করবেন না। কেউ বাসস্ট্যান্ডে, সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করবেন না। হারাম খাওয়া নিষেধ, চাঁদাবাজি করে যারা খাবেন, তারা শূকরের মাংস খাবেন। আপনারা কেউ শূকরের মাংস খাবেন না।
মন্তব্য করুন