বাড়তি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কেনার ‘রহস্য’ জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর দর-কষাকষিতে সুবিধা পেতে কিছুটা বেশি দামে এ গম কেনা হচ্ছে।’
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরে বৈঠক শেষে এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
আমদানি করতে যাওয়া গমে প্রোটিনের হার ও দাম কেমন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রোটিনের হার কিছুটা বেশি। দামও কিছুটা বেশি পড়বে। তবে তিন উদ্দেশ্যে এ গম কেনা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে, শুল্ক ইস্যুতে দেশটির সঙ্গে দর-কষাকষিতে সহায়তা পাওয়া। একই সঙ্গে গাম আমদানির উৎস বাড়ানো।’
শুল্ক আরোপ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে, একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই। কারণ, লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে কুইক করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। নেগোসিয়েশন তো দূরের কথা।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।’
বৈঠকে উত্থাপিত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় বলা হয়, জি-টু-জি পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব গম কেনা হবে। প্রতি টন গম কিনতে ব্যয় হবে ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম কিনতে ব্যয় হবে ৮১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। প্রতি কেজি গমের দাম পড়বে ৩৭ টাকা ২০ পয়সা।
মন্তব্য করুন