বেসরকারি খাতের মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আহসান খলিল পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার (২৭ জুলাই) ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর তিনি এই পদত্যাগপত্র জমা দেন, যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকেও।
পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই তার এ সিদ্ধান্ত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তিনি আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে পদত্যাগ কার্যকর করার অনুরোধ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিলে মেঘনা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন কাজী আহসান খলিল। এর আগে তিনি এনআরবি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ছিলেন। দীর্ঘ ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে শুরু করে প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, শাহ্জালাল ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, এনআরবি কমার্শিয়াল, মধুমতি এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত মেঘনা ব্যাংক সম্প্রতি বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিচালনা পর্ষদের একাধিক সদস্য বিদেশে চলে যান বা আত্মগোপনে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ১২ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে নতুন করে গঠন করে। তাতে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এএইচএন আশিকুর রহমানকে সরিয়ে প্রাণ গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করা হয়।
পর্ষদ পরিবর্তনের পর থেকেই কাজী আহসান খলিলের সঙ্গে বোর্ডের দূরত্ব বাড়তে থাকে বলে জানা গেছে, যা শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মন্তব্য করুন