গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০১১ সাল থেকে লড়াই করছে। ফ্যাসিবাদের সাথে সাথে ফ্যাসিবাদের ব্যবস্থাকে বিদায় করা হবে আমাদের সংগ্রাম। ফ্যাসিবাদের পুরো ব্যবস্থাকে যদি আমরা বদলাতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এই লড়াইয়ে আর আসবে না।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে জুলাই সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বছরের পর বছর লড়াই করে মানুষ ধীরে ধীরে বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছিল। বিশেষ করে ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধন করল, তখন বোঝা গেছে তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। তাদের বাসনা ছিল নিজেদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে পরিণত করা। আমরা বলেছি এই সংবিধান মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর দাঁড়িয়ে হয়েছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা সংবিধানে প্রতিফলন হয়নি। প্রতিফলন হয়নি বিধায় সমস্ত ক্ষমতা একজন ব্যক্তির কাছে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তার হাতে সব ক্ষমতা। আর তিনি পুরো রাষ্ট্রটা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে জনগণের ওপর তীর চালিয়েছেন। এরা সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এসেছিল, কিন্তু তা বেশি দিন টেকেনি।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা-মামলা গুম খুন করা হয়েছে। তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেকেই দেখছি গণতন্ত্র ও দেশের উন্নতির কথা বলেন, কিন্তু তাদের গণতন্ত্র ও দেশের উন্নতির মধ্যে আমাদের শ্রমিক নেই, নারী নেই, নিপীড়িত জাতি ও জনগোষ্ঠী নেই। আমাদের তরুণ ছাত্রও নেই। আগামী দিনের এই তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। তরুণদের কাজে লাগাতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যে এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে নতুন নীতি দরকার।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোফাখখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের টাঙ্গাইল জেলা সংগঠক ফাতেমা রহমান বিথি, পৌর কমিটির সদস্য সচিব ফারজানা জেসমিন নিহত মারুফের মা মোরশেদা বেগম প্রমুখ।
এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা এবং গণসংহতি আন্দোলনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন