কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আবারো এয়ার টিকিটের উচ্চ মূল্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট 

প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত

দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো রুটের বিশেষ করে সৌদি আরবের এয়ার টিকিট ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। গত এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এসব টিকিটের দাম নেমে এসেছিল ৩০ হাজারের কোটায়। কিন্তু হঠাৎ করে টিকিট যেন সোনার হরিণ। রিয়াদ, দাম্মাম, জেদ্দা, মদিনা কোনো রুটেই টিকিট ৮০ হাজারের নিচে মিলছে না।

এর অন্যতম কারণ এয়ারলাইন্স ও গ্লোবাল সেলস এজেন্টগুলোর (জিএসএ) সিন্ডিকেট। বড় অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। কিন্তু এদিকে নজর নেই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দেখা যায় ঢাকা থেকে কুয়েতগামী যাত্রীরা টিকিট কিনেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার টাকায়, একইভাবে রিয়াদের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তার দামও প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

বিশেষ কিছু এজেন্সির কাছে গ্রুপ আকারে যাত্রীর নাম ছাড়া সব টিকেট ব্লক করা আছে। অথচ সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট কপি ছাড়া বুকিং করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেছিল। এসব এজেন্সি টিকিটগুলো ৯০ হাজারের থেকে কিছু কমে বিক্রি করছে যার ফলে তাদের ব্যবসা খুব জমজমাট।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন পূর্বে যারা নাম ছাড়া টিকিট মজুত করত তারা আবার সক্রিয় এবং এয়ারলাইন্সের টিকিট অগ্রিম নাম ছাড়া ব্লক করে তারা মজুত করেছে যে কারণে বর্তমানে টিকিটের এই আকাশচুম্বী মূল্য। নাম ছাড়া এসব বুকিং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। এয়ারলাইন্সের জিএসএগুলো তাদের লাভের একটি অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা করে অগ্রিম টিকেট ব্লক করে এবং নিম্নমূল্যের টিকিটগুলো ব্লক করে তাদের পছন্দের কয়েকটি সিন্ডিকেট এজেন্সির মাধ্যমে বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার বাড়তি দামে বিক্রি করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি গঠিত তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আজ পর্যন্ত কোনো সংবাদমাধ্যম জানতে পারেনি।

বিমান মন্ত্রণালয়ের আকাশপথে যাত্রী সাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের কোনো অ্যাকশন দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি এজেন্সি ও জিএসএকে শোকজ দিয়ে তারা দায়সারা গোছের কাজ দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ। এবিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের কোনো অফিসার কথা বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, আকাশপথে যাত্রীর স্বার্থে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার ১০ দফা নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু এয়ারলাইন্স ট্র্যাভেল এজেন্সি বা জিএসএ কেউই এই ১০ দফা মানছে না। এ বিষয়ে কোনো সরকারি মনিটরিং নেই বলেও জানিয়েছে খাত সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ

হরিণের মাংসসহ আটক ৮

যে বিলাসবহুল নেশায় বছরে ৬০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেন হলান্ড

পাটুরিয়ায় ফেরিঘাটে ভাঙন, ৪ নম্বর ঘাটও ঝুঁকিতে

দুই কারণে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

ত্বকের যত্নে ম্যাজিকের মতো কাজ করে যে ৫ ফল

আপনি কি জানেন, কেন তালার নীচে ছোট্ট ছিদ্র থাকে?

বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর জর্জিনাকে কত টাকার উপহার দিয়েছেন রোনালদো?

ফ্রিজে রাখা কাটা পেঁয়াজ কি খাওয়া উচিত, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

লুট হওয়া পাথর বালু ও মাটি দিয়ে আড়ালের চেষ্টা

১০

যেসব দেশে থাকার জন্য টাকা পাওয়া যায়

১১

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এখন কত

১২

ডিএমপিতে অনলাইন জিডি করবেন যেভাবে

১৩

৪ জনের মরদেহ উদ্ধার / ‘আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো’ লেখা চিরকুটে আরও যা ছিল

১৪

ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন 

১৫

পানিবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খিচুড়ি পৌঁছে দিলেন ইউএনও

১৬

১০৭ বছর বয়সেও চশমা ছাড়া কোরআন পড়েন নুর জাহান

১৭

প্রেম, স্মৃতি আর বিদায়ের গল্পে লিসা-কেনতারো

১৮

গোপালগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালিত

১৯

আমিরের সঙ্গে দিব্যর স্বপ্নময় মুহূর্ত

২০
X