ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) স্বর্ণের বাজারে আধুনিকতার ছোঁয়া আনার জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্থাটি স্বর্ণকে ডিজিটাল ইউনিটে রূপান্তরিত করে লেনদেন, নিষ্পত্তি ও জামানতের কাজে ব্যবহার করার জন্য একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে। নতুন এই ডিজিটাল স্বর্ণের ইউনিটের নামকরণ করা হয়েছে ‘পুলড গোল্ড ইন্টারেস্টস’ (পিজিআই)। আগামী বছরের প্রথম তিন মাসে লন্ডনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে।
ডব্লিউজিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড টেইট বলেন, বর্তমানে অনেক ব্যাংক ও বিনিয়োগকারীর কাছে স্বর্ণ শুধু মজুদ সম্পদ হিসেবে থাকে, যা থেকে আয় হয় না। ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে এটিকে আরও লাভজনক ও কার্যকর সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, নতুন এই ব্যবস্থা স্বর্ণকে মার্জিন কল পূরণ, জামানত বা অন্যান্য ফাইন্যান্সিয়াল কার্যক্রমে ব্যবহারযোগ্য করে তুলবে।
বাজার বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, স্বর্ণ ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ডিজিটাল সম্পদের বিপরীতে আকর্ষণ হারাতে পারে। তাই ডব্লিউজিসির এই উদ্যোগ স্বর্ণকে ডিজিটালভাবে আরও কার্যকর ও সহজলভ্য করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণ বাজারে এই পরিবর্তন গ্রহণযোগ্যতা পেতে সময় লাগতে পারে। অতীতে স্বর্ণ-সমর্থিত ডিজিটাল মুদ্রা তৈরি অনেক উদ্যোগ সফল হয়নি। তবে টিথার গোল্ড ও প্যাক্স গোল্ড এর মতো কয়েকটি উদ্যোগ সফল হলেও তাদের বাজার আকার খুব ছোট। অন্যদিকে, শুধু স্বর্ণ-সমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) ৪০ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ রয়েছে।
ডব্লিউজিসির এই নতুন ডিজিটাল স্বর্ণ উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বর্ণকে ফিজিক্যাল মজুদের তুলনায় আরও লাভজনক ও ট্রেডযোগ্য সম্পদে রূপান্তরিত করবে। ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যাংক ও বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণের ব্যবহার নতুন মাত্রা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস
মন্তব্য করুন