নির্বাচন কমিশন সরকারের গৃহপালিত কমিশনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। বরিশাল সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বরিশালে হাতপাখার প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীমের ভোটারদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা প্রমাণ করে যে নির্বাচন কমিশন একজন প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ সে নির্বাচন কমিশনের এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বরিশালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রশাসন কোনোভাবেই এর দায়ভার এড়াতে পারে না। প্রশাসন বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা লাগবে মানে, দোষীদের আড়াল করে দিয়ে তারপর প্রশাসন দোষীদের কী গ্রেপ্তার করবে?
অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, সরকার জুলুম নির্যাতনে সীমা লঙ্ঘন করছে, এই সীমা লঙ্ঘনকারীদের পতনঘণ্টা বেজে গেছে। একজন মেয়র প্রার্থীর রক্ত ঝরিয়ে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে এবং ভোটারদের ওপর হামলার ঘটনা নৌকার ভরাডুবি প্রমাণ করে। সরকারদলীয় দস্যুরা যেভাবে হাতপাখার প্রার্থীকে আক্রমণ করেছে, তাতে দলদাস নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের গৃহপালিত কমিশনে পরিণত হয়েছে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। এজন্য জাতীয় সংসদ, মন্ত্রিপরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই। বরিশালে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীমের রক্ত ঝরলেও তিনি শেষ পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পরবর্তী যে কোনো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, শ্রমিকনেতা মাওলানা খলিলুর রহমান, যুবনেতা মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, নগর উত্তর সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মাছউদুর রহমান, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, এমএম শোয়াইব, ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পরে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পল্টন মোড় এসে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন