রাজধানীর বিজয় সরণির কলমিলতা বাজার এবং মিরপুর ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ের গেটে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা।
রোববার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আমরা বস্তি পুনর্বাসন ও শহীদ পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায় সংগ্রাম পরিষদ’-এর ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই প্রতীকী অনশনের ঘোষণা দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল কাদেরের সন্তান মো. আব্দুল কাদের। এ সময় বস্তিবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রহিম বলেন, আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হলেও রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও অরাজকতায় দুটি বিষয়ে ভুক্তভোগী। একটি রাজধানীর বিজয় সরণিতে অবস্থিত কলমিলতা বাজার এবং আরেকটি মিরপুর ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প। আমাদের কলমিলতা বাজারটি সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরস্পর যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জবরদখল করে রাখে। আর মিরপুর ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পটি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও কর্নেল (অব.) ফারুক খানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ভূমি মন্ত্রণালয় অবৈধভাবে দখল করে রাখে। আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ উল্লেখিত বিষয় দুটির সমাধান চেয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো সমাধান পাইনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরও এখনো বিষয় দুটির সমাধান হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমাদের বিষয় দুটির সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টাসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের কাছে বারবার কলমিলতা বাজার ও মিরপুর ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প দুটির সমাধান চেয়েও সমাধান পাইনি। অতঃপর গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের আইজিপি বরাবরে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ভূমি মন্ত্রণালয় সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনও করে। প্রজ্ঞাপনে আগামী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, অদৃশ্য কারণে সাত মাস অতিবাহিত হলেও এর কোনো অগ্রগতি নেই। প্রতিবেদন দাখিলও হয়নি, বস্তিবাসীদের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়নি। এ অবস্থায় রাজপথে নেমে আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো পথ নেই। কাজেই আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই রাজপথেই থাকব, প্রয়োজনে জীবন দেব, তবু রাজপথ থেকে পিছপা হব না।
মন্তব্য করুন