ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দখলদারদের তালিকা করে তেমন সুফল পাওয়া যায় না। নতুন নতুন দখলদার সৃষ্টি হয়। সেজন্য খাল উদ্ধারে আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় এগিয়ে যাচ্ছি।
আজ বুধবার রাজধানীর ডেমরা এলাকায় মেন্দিপুর খেলার মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের চারটি খাল শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল নিয়ে যে প্রকল্প দিয়েছেন আমরা তা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
অপরিকল্পিতভাবে হুটহাট চমক দেখালে খাল-নদীকে পয়োপ্রণালির দূষণ থেকে রক্ষা করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যে খালগুলো নিয়ে কাজ করছি সেখানেও অনেক পয়োবর্জ্যের সংযোগ রয়েছে। জিরানী, মান্ডা, কালুনগর ও শ্যামপুর খালে যে পয়োপ্রণালি সংযোগ রয়েছে সেগুলোকে আমরা অন্যদিকে ধাবিত করব। খালের পাশ দিয়ে পিট করে দেব। সেই পিট দিয়ে এগুলো মূল প্রণালি সংযোগে চলে যাবে। খালে যেন এই পানিটা নিষ্কাশন না হয়। পর্যায়ক্রমে আমরা এই কাজটি করব।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এখনই হয়তো আমরা অল্প সময়ের জন্য এই সুফল দিতে পারছি না। কিন্তু এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হলে ইনশাআল্লাহ পয়োপ্রণালির পানিটা আর খালে আসবে না। নদীতেও যাবে না। নদীর পানি যেভাবে দূষিত হচ্ছে সেটা থেকেও পর্যায়ক্রমে আমরা ধাপে ধাপে মুক্ত হবো। আমরা মনে করি যে, পরিকল্পিত আকারে এগোলে সমাধান পাব। অপরিকল্পিতভাবে হুটহাট চমক দেখালে খাল-নদীকে পয়োপ্রণালির দূষণ থেকে রক্ষা করা যাবে না। আমরাও সমাধান পাবো না।
সোকওয়েল ও সেপটিক ট্যাংক নিয়ে করা সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এটা অত্যন্ত দুরূহ। কারণ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে যেটা অপরিকল্পিতভাবে হয়ে আসছে সেটা খুব দ্রুত যে সম্পন্ন হবে তা আশা করা যায় না। একদিকে যে নতুন বাসা-বাড়ি, স্থাপনা হচ্ছে তারা যেন নিজস্ব সোকওয়েল ও সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করেন সেজন্য আমরা তাদের অনুপ্রাণিত করছি। যাতে করে তারা নিজেদের সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল করে সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে কঠোরও হচ্ছি।
শেখ তাপস বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারেই আমি বলেছিলাম, ছোট হোক বা বড় হোক, প্রতিটি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম একটি করে খেলার মাঠ করার উদ্যোগ নেবো। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে আমরা অনেক জায়গা দখলমুক্ত করে ১০টি ওয়ার্ডে নতুন করে খেলার মাঠ তৈরি করেছি। নতুন যে ১৮টি ওয়ার্ড সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে ওয়ার্ডগুলোতেও আমরা পরিকল্পিতভাবে খেলার মাঠ তৈরি করবো।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন