গাজীপুরের কাশেমপুরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আইনগত বেতনভাতা না নিয়েই কারখানা বন্ধের নোটিশের প্রতিবাদে ও পাওনা বেতনভাতার দাবিতে শ্রমভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে প্রায় এক হাজার শ্রমিক। গত শনিবার থেকে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে তারা।
বুধবার (০৮ মে) সকাল ১০টার দিকে চতুর্থ দিনের মতো শ্রমিকদের কারখানা বিক্রি ও কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবিতে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
জানা যায়, গত ঈদুল ফিতরের ছুটির পর থেকে গাজীপুরের ড্যানিস নিটওয়্যারের গার্মেন্স মালিক কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দেয়। ছুটির সময় শ্রমিকদের না জানিয়ে যন্ত্রপাতি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। ঈদের পর কারখানা না খুলে কারখানার সামনে অবস্থানকারী শ্রমিকদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে হুমকি ও মারধর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
কারখানাটিতে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন। গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানাটির শ্রমিকদের কোনো বেতনভাতা, বোনাস না দিয়েই কারখানা বন্ধ করে দেন। এর পর থেকে কারখানার শ্রমিকরা কারখান সামনে অবস্থান নেয়। এরপর শ্রম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে গত ২৫ এপ্রিল মালিক-শ্রমিক ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সমোঝোতায় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে ৫ মে পর্যন্ত সময় নেন মালিক পক্ষ।
কিন্তু পরবর্তী শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা ৫ এপ্রিল আবার বসলেও মালিক পক্ষ সেখানে সাড়া দেয়নি। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা কাজী রুহুল আমিন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হাফিজুল রহমান, জালাল হাওলাদার, মাফুজুল ইসলাম, জাহানারা ঈমাম, সোহেল রানা, সুমা আক্তার, লাকী আক্তার, মো. ফিরোজ প্রমুখ।
এসময় নেতারা বলেন, মালিকের সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন ও এখানে অবস্থান চলবে। শ্রম আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা, ঈদ বোনাস, মাতৃত্বকালীন ভাতা না দিয়েই কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ।
বক্তারা বলেন, শ্রম ভবনের সামনে শ্রমিকেরা চার দিন ধরে অবস্থান নিয়েছে । এসময়ে শ্রম ভবনে কর্মকর্তারা শ্রমিকদের জন্য পানি খাওয়ারও ব্যবস্থা করেনি। আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম- অবস্থানকারী শ্রমিকদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে।
মন্তব্য করুন