দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদরকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এক বছর ছয় মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এক বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আব্দুল মজিদ এই রায় দেন।
দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু কালবেলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির আলাদা ধারায় মোট দুই বছর ছয় মাস কারাদণ্ড ও ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, দশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে দুদক টিম ফাঁদ পেতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আজিমুলকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার নামে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে আদলতে চার্জশিটও দাখিল করে দুদক। বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় হয়েছে।
মামলা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন আজিমেল কদর। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার কাছে তাসলিমা আক্তার নামের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বদলির আবেদন নিয়ে যান। এরপর ২০ মার্চ বদলির বিষয়ে জানার জন্য গেলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আজিমেল কদর ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাসলিমা ৫ হাজার টাকা দেন। এরপরও আজিমুল তাসলিমাকে আরও ১০ হাজার টাকা নিযে আসতে বলে। এমনকী টাকা না নিয়ে আসলে বদলি হবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপরই তাসলিমা বিষয়টি দুদকের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর দশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে দুদক টিম ফাঁদ পেতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
মন্তব্য করুন