গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ডে ছাড় দিতে রাজি নয়। এখন সারা দেশে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ ও দলটির সমমনা সংগঠনের কর্মীরা। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কর্মীরা আসছে না প্রকাশ্যে।
মাঝে মাঝে হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী প্রকাশ্যে রাজপথে মিছিল বের করলেও দশ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে পারেনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেমে নেই তাদের অপপ্রচার।
পুলিশের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল করেছিল রাতে এবং ভোরে। মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেরা ছড়াত। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার খোয়াজনগর থেকে ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, গ্রেপ্তাররা একটি ফেসবুক পেজ চালান। ওই পেজে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় মিছিলের আদলে তারা ভিডিও বানাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীফ কালবেলাকে বলেন, ১২ তরুণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটক তরুণদের স্বজনদের দাবি, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়।
আটক ১২ তরুণ হলেন- ইয়াছিন আরাফাত (১৮), আবদুল করিম (১৮), আবু হাছনাইন (১৮), সাইফুল ইসলাম (১৯), আবদুর রহমান (১৮), আরাফাত হোসেন (১৮), আশরাফুল জামাল (১৮), ফোরকান (১৯), মো. ইকবাল (১৯), আশিকুল ইসলাম (১৮), শরীফুল ইসলাম (১৮) ও আকিফুল ইসলাম আকিব (১৮)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ও চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আটক আবদুর রহমানের বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার ছেলে রাজনীতিতে যুক্ত নয়। তারা রাতভর থানায় ছিলেন। কিন্তু ছেলেদের ছাড়িয়ে নিতে পারেননি। ভিডিও বানানোর জন্য ছেলেদের সঙ্গে এমন করা হলো।
আটকদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্তা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, তাদের পেছনে একজন মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। তিনি আটকদের দিয়ে ভিডিও বানাচ্ছিলেন। তদন্ত সাপেক্ষে তার নাম প্রকাশ করছি না।
মন্তব্য করুন