চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আহত বানরটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের মারা যায়। বর্তমানে তার মৃতদেহটি চট্টগ্রামের ষোলো শহরে অবস্থিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের রাখা হয়েছে।
বানর মারা যাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, প্রথম দিন বানরটি সীতাকুণ্ড থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পরে একটু শারীরিক উন্নতি হলেও পর দিন থেকে ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছিল। গতকাল বিকেলে বানরটি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শরীরের স্যালাইন পুস করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসকরা বানরটিকে তরল জাতীয় খাওয়া খাওয়ানোর জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু সে একেবারেই কিছুই খাচ্ছিল না। আজ সকালবেলা তাকে অনেক খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা কর্মী গিয়ে দেখেন বানরটি মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত বানরের মৃতদেহটি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের ভেতর পুঁতে ফেলা হবে। বানরটিকে বাঁচানো ও চিকিৎসার কোনো কমতি ছিল না।
এর আগে পরপর তিনদিন বিদ্যুতের শকে আহত হওয়া বানরটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নুরু উদ্দিন রাশেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় বানরটি মারা যায়।
মন্তব্য করুন