মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, ফুটো পাইপ মেরামতে নেমেছে ওয়াসা

পাইপ লাইনের ফুটো মেরামত করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ছবি : কালবেলা
পাইপ লাইনের ফুটো মেরামত করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের ছদু চৌধুরী সড়কে বাসস্ট্যান্ড থেকে বছির শাহ মাজারের দিকে যেতে ব্রিজের গোড়ায় এতদিন অঝোরে পানি ঝরতে দেখা যেত। দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে এটি ছিল সেখানকার নিত্যদিনের চিত্র। তবে গত বুধবার ‘বছরে ১৪২ কোটি টাকার পানি যাচ্ছে পানিতে’ শিরোনামে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর পাইপ লাইনের ফুটো মেরামতে নেমেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের গোড়ায় তিনজন কর্মচারী পাইপ মেরামতের কাজ করছেন। এর আগে দিনভর তারা কয়েক কদম হাঁটার দূরত্বের আরেকটি ফুটো মেরামত করেন।

ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানায়, পাইপ লাইনের ফুটো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। পাইপ লাইনের ফুটো রাস্তা খনন করে মেরামত করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের অনুমতি পেতে বেগ পেতে হয়। অনুমতির জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। এতে অনেক পানি অপচয় হয়।

ওয়াসার দেওয়া তথ্যমতে, ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ আছে ৮৬ হাজার ৪৭টি এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ৮ হাজার ৫১১টি। চট্টগ্রাম ওয়াসার দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। তবে দৈনিক ৪৬ কোটি লিটারের মতো পানি উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ পানি হালদা ও কর্ণফুলী নদী থেকে নিয়ে পরিশোধন করা হয়। বাকি ৮ শতাংশ পানি আসে গভীর নলকূপ থেকে।

উৎপাদিত পানির মধ্যে পাইপে ফুটোর কারণে প্রতিদিন নষ্ট হয় ১ কোটি ৭৮ লাখ লিটার। এভাবেই বছরে সাড়ে ৬০০ কোটি লিটার পানি হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ওয়াসার হিসেবে এক হাজার লিটার পানি উৎপাদন করতে সংস্থার খরচ হয় ৩২ টাকা। পানি পরিশোধনে ব্যবহৃত রাসায়নিক, বিদ্যুৎ খরচ, জনবলের বেতন-ভাতা অন্তর্ভুক্ত করে এ উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে ৬৪০ কোটি লিটার পানি উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম কালবেলাকে বলেন, ওয়াসার পাইপ ফুটো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। পাইপ ফুটো হলে তা মেরামত করতে হয় রাস্তা খনন করে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি পেতে আমাদের দীর্ঘ সময় লাগে। অনেক সময় তারা অনুমতি দেনও না। এতে আমাদের প্রচুর পানি অপচয় হয়।

তিনি আরও বলেন, অনুমতি পাওয়া মাত্রই আমরা কাজ শুরু করতে পারি। অনুমতি ছাড়া মেরামত করতে গেলে সিটি করপোরেশনের লোকজন আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। এখনো তাদের কাছে ওয়াসার ঠিকাদারের অনেক জিনিসপত্র রয়ে গেছে।

তবে অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করে করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি কালবেলাকে বলেন, ওয়াসা আবেদন করলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন করে দিই। কিন্তু তারা কাজ সময়মতো শেষ করতে পারে না। যতটুকু রাস্তা কাটার কথা, তার চেয়ে বেশি কেটে ফেলে। আমাদের যেভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা সেভাবে দিতে পারে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি গোপনে দেখবে ফেসবুক, কীভাবে

নর্থ সাউথের সেই শিক্ষার্থীর দোষ স্বীকার

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে নয়াপল্টনে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেল বাংলাদেশের ২০ শিক্ষার্থী

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা নিয়ে বিএনপির বিবৃতি

রাজধানীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

ঘরে এসেছে নতুন অতিথি

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল জবি ছাত্রদল নেতার

দীর্ঘদিন অনাদায়ী ঋণ অবলোপন, আদায়কর্মী পাবেন প্রণোদনা

মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই : জামায়াত নেতা শাহজাহান

১০

যশোরে ব্যতিক্রম আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১১

ঘুম ভাঙলেও প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকেন? অজান্তেই হচ্ছে ভয়াবহ ক্ষতি

১২

ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান নিয়ে যা বললেন সালাহউদ্দিন

১৩

আগুন নেভাতে ২৬ ঘণ্টা, কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৪

বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিককে মারধর, মোবাইল ভাঙচুর

১৫

কখন চিয়া সিড খেলে সবেচেয়ে বেশি ফল পাওয়া যায়?

১৬

চাকসুর ভিপি-জিএস-এজিএস কার বাড়ি কোথায়

১৭

শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৮

আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে : ফারুক

১৯

ভক্তদের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করেছে আর্টসেল

২০
X