বিশ্বজুড়ে শিশুরা নানা ধরনের বিপন্নতার শিকার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, শিশুদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করা বাকি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী শিশু আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উচ্চারক শিশু কুঞ্জ।
এ সময় শিশু কুঞ্জের প্রশংসা করে মেয়র আরও বলেন, ‘শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা শিশুর অধিকার, এবং এই ক্ষেত্রে উচ্চারক শিশু কুঞ্জের কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইস্পাহানি টি লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ নুর নবী। তিনি বলেন, শিশুদের উচ্চারণ ও আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কেবল ভাষাগত শুদ্ধতা দেয় না, এটি শিশুর মানসিক গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
‘শৈশবেই বুনন হোক সাম্যের মনন’ শিরোনামে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে সভাপতিত্ব করেন উচ্চারকের সভাপতি, আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাছুম আহমেদ এবং সাংবাদিক মনজুর কাদের মনজু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উচ্চারকের শুভানুধ্যায়ী সদস্যরা— বাউল তাত্ত্বিক ও নাট্যজন স্বপন মজুমদার, কবি শহিদ মিয়া বাহার, লেখক ও গবেষক খন রঞ্জন রায়, লেখক ও সংগঠক সজল চৌধুরী এবং সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব আহ্বায়ক লেখক ও সাংবাদিক আলীউর রহমান।
উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হয় একক ও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে উচ্চারক শিশু কুঞ্জ, ঢাকার বাংলা আমার, চট্টগ্রামের বোধন আবৃত্তি পরিষদ, খাগড়াছড়ির আরণ্যক বাচিকশিল্প চর্চাকেন্দ্র ও দীপালোক আবৃত্তি অঙ্গন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যদল, স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল ড্যান্স ও প্রাফন একাডেমি। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন গোধূলি বড়ুয়া, সাজেদা ইসফাত রহমান সামান্থা, অথৈ রহমান, ওলিউল্লাহ ভুঁইয়া নাজিফ, রাদিয়া জাহেদ, ফাবিহা তাহের আবৃত্তি, মুহিত ইউসুফ, শোভিত চাকমা, কেন কেন উ. মারমা, মিচিংনু মারমা, ফারিহা তাহের গল্প, শাহিদ, মানহা, মিশেল, দেব দুহিতা ঘোষ, আমন্ত্রিত ছড়া শিল্পী উৎপল কান্তি বড়ুয়া, জসিম মেহবুব, সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার, শেলীনা আকতার খানম। উৎসবে আবৃত্তি ছাড়াও উৎসবে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য বায়োস্কোপ প্রদর্শন, যাদু প্রদর্শন ও গল্প বলার আয়োজনও করা হয়।
মন্তব্য করুন