কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৪৪ এএম
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৫০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আমার বিবেক কি আমাকে যন্ত্রণা দেবে না : তাজুল ইসলাম

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক সমন্বয় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক সমন্বয় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সমন্বয়হীনতা এবং জলাবদ্ধতার ভোগান্তি নিয়ে এবার বিভিন্ন সেবা সংস্থার দায়িত্বশীলদের এক হাতে নিলেন সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয় নির্দেশনা অনুযায়ী সমন্বয় সভা হয়েছে কি না, বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি কতটুকু খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছেন তিনি।

সভায় জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কেন জলাবদ্ধতা হবে। তখন শুনি এটা এ কারণে হয়েছে। হয়তো অসিলা দেখানো যাবে। কিন্তু আমার বিবেক কি আমাকে যন্ত্রণা দেবে না।’

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সমন্বয় সভায় এসব বিষয় আলোচনা হয়। এ সময় চসিক, সিডিএ, ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আগস্টের শুরুতে চট্টগ্রামে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। স্মরণকালের রেকর্ড বৃষ্টিতে টানা চারদিন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরীতে। এর আগে ও পরেও বেশ কয়েক দফা ডুবেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এ সময় চসিক-সিডিএর দায়িত্বশীলরা জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে একে অপরকে দোষারোপ করেছিলেন। এ ঘটনার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে এসে সমন্বয় সভায় নানা প্রশ্নের জবাব চান মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এ সভার একপর্যায়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। এ সময় ধমকের সুরে মন্ত্রী তার কাছে প্রশ্ন করেন, ‘আপানারা কি প্রতি মাসে সভা করেছেন। আপনি ঠিক করে বলেন, কয়টা সভা করছেন।’ এ সময় পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠেন ৯টি সভা হয়েছে স্যার।

সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের কাছে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি জানতে চান। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব শুনে অসন্তোষ প্রকাশ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও অনেকবার সমন্বয় সভায় একই ধরনের কথা শুনেছি। এই ধরনের কথা আর শুনতে চাই না। কাজ কতটুকু হয়েছে, শেষ হয়েছে কিনা তাই বলুন।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, চসিক, সিডিএ, ওয়াসার প্রকৌশলী ও বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাংবাদিককে মারপিটের ঘটনায় মামলা

সংগঠনের অবস্থা জানতে জেলা সফর শুরু করছে যুবদল

সৌদিতে প্রথমবার সাঁতারের পোশাকে নারী ফ্যাশন শো

তিস্তা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু

সমুদ্রপাড়ে সিডিএ প্রকৌশলীদের ‘বারবিকিউ পার্টি’

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার হাতে ভাতিজি খুন

পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে সরকার : মান্না

অমরত্ব পেল লেভারকুসেন

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য : পরশ

১০

ইউরোপে ভয়ংকর মিশনে নেমেছে ন্যাটো-সিআইএ

১১

‘চেয়ারে বসলেই ৫০ কোটি টাকা’

১২

রাজশাহীতে পুলিশ-বিএনপি ধ্বস্তাধ্বস্তি

১৩

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

১৪

যে বার্তা দিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি  

১৫

নাফনদী থেকে দুই বাংলাদেশি যুবককে অপহরণ করেছে আরসা

১৬

বিদ্যুৎস্পর্শে পল্লীবিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু

১৭

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / বেশি দামে মসলা বিক্রির সত্যতা পেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

১৮

জান্তার হেলিকপ্টার ভূপাতিতের দাবি মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের

১৯

বাজারে যাওয়ার পথে সাপের কামড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

২০
X