ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ, ফায়ার সার্ভিস, আনসারসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, উপকূলবর্তী উপজেলা সমূহের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
সভায় জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। বিশেষ করে সন্দীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মিরেরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও পূর্ণিমার কারণে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় উপকূলবর্তী এলাকাসমূহ এবং পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও এসিল্যান্ডদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত ও জানমাল রক্ষায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় ছয় উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে খোলা হয়েছে ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র, প্রস্তুত করা হয়েছে আরও ৭৮৫টি। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে করা হচ্ছে মাইকিং। কাজ করছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবকরা। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাথমিক চাহিদা মিটানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২১ টন চাল। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন