সিলেটের গোইয়ানঘাটে তমজিদ আলী হত্যা মামলায় চারজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন : গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ফরিদপুরে ৫ জনের ফাঁসি
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যা মামলার ২২ বছর পর এ রায় দেন। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার করেন আদালত।
ফাঁসির আসামিরা হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার ইটাচকি গ্রামের আব্দুর রব, একই গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, পার্শ্ববর্তী ইস্তি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে রইছ আলী ও নুর মিয়ার ছেলে ফজল উদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এ মামলয় বাকি ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সকলেই জামিনে ছিলেন। তবে সোমবার তারা আদালতে হাজিরা দিতে এলে রায় শোনানোর পর কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া এ মামলায় মোট ১৫ আসামির ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয় এবং সাজিদুর হক নামের এক আসামি বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন : যুদ্ধাপরাধে পিরোজপুরের চারজনের ফাঁসি
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেটের গোয়াইনঘাটে ইস্তি গ্রামে খাল দখলকে কেন্দ্র করে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে জেলে তমজিদ আলীকে হত্যার পর মরদেহ হাওরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী পেয়ারা বেগম ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সদর সার্কেল এএসপি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান। মামলাটি জিআর ৭৭/২০০১ মূলে আদালতে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালে এ আদালতে দায়রা ৩/২০০৪ মূলে রেকর্ড করে বিচার শুরু হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ হত্যা মামলায চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। সেই সঙ্গে অন্য সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন