লক্ষ্মীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে তিন দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে জেলার ৬ থানা থেকে ১৪ জনকে পৃথকস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর থানায় ৪, রায়পুরে ১, কমলনগরে ২, রামগঞ্জে ২, রামগতিতে ২ ও চন্দ্রগঞ্জে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া সোমবার ১৬ ও মঙ্গলবার ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাশকতার ঘটনায় সোমবার (২১ জুলাই) সদর থানার এসআই অলিউল্যা বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় এজাহার নামীয় ১৩ জনসহ অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।
সদর থানায় আটকদের নতুন দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার অন্য থানা চন্দ্রগঞ্জ, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি থানায় আটকদের পুরোনো মামলার আসামি হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ইমতিয়াজ আহমেদ বাবু, আজাদ মাহামুদ নিয়াজ, মো. জাহাঙ্গীর, মো.মহিউদ্দিন, মো. মেরাজ হোসেন, জয়নাল, আমজাদ হোসেন, নাসির উদ্দিন, মনির হোসেন, জাকির হোসেন, রাজিব হোসেন। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, সোমবার (২১ জুলাই) জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী বাজার মুখে সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরকসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে হাঙ্গামা ও যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ একাধিক অভিযান করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের আটক করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতিদিনই নাশকতাকারীদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া বর্তমানে লক্ষ্মীপুরে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন