হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাঠের সেতুই ভরসা দুই ইউনিয়নবাসীর

ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকো। ছবি : কালবেলা
ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকো। ছবি : কালবেলা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে প্রবাহিত ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতু দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। এই কাঠের সেতু দিয়ে হেঁটে পারাপার হতে পারলেও স্থায়ী সেতু নির্মাণ না হওয়ায় কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল বহন করা নিয়ে বিপাকে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুবিধায় ২০০৯ সালের দিকে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিপি) অর্থায়নে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সিমেন্টের খুঁটির ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে প্রাথমিকভাবে একটি সাঁকো তৈরি করে উপজেলা পরিষদ। কিন্তু দুই বছর পরেই কাঠের পাটাতনগুলো নষ্ট হয়ে গেলে এলাকার মানুষের চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

এরপর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সিমেন্টের খুঁটির ওপর বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়।

একাধিক এলাকাবাসী জানান, ইছামতী নদীর উত্তর পাড়ে পশ্চিম খলিলপুর, আগ্রাইল, সট্টি, পশ্চিম চালা, লাউতা, সুলতানপুর, খাবাশপুর ও দড়িকান্দিসহ আটটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। নদীর দক্ষিণ পাড়ে বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, যাত্রাপুর বাজার, যাত্রাপুর খেলার মাঠ, সরকারি বিচারপতি নুরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হরিরামপুর থানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উত্তর পাড়ের আটটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন চলাচল করতে হয় এই সাঁকো দিয়ে। এখানে একটি স্থায়ী সেতু না থাকায় এই এলাকার কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল আনা নেওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রায় তিন-চার মাইল ঘুরে লেছড়াগঞ্জ বাজারে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল আনা নেওয়া করতে হয়। এতে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ নিয়ে বিপাকে কৃষকরা।

পশ্চিম খলিলপুর গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন জানান, এখানে একটি সেতু না হওয়ায় আমাদের এলাকার ৮টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। এই এলাকার কৃষিপণ্য লেছড়াগঞ্জ বাজারে নিতে হলে তিন-চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাইতে হয়। এতে গাড়ি ভাড়া যেমন বেশি লাগে তেমনি ভোগান্তিও পোহাতে হয়। প্রতি বছরই এই সাঁকো মেরামত করতে হয়। অনেক সময় সাঁকোর কাঠ কিংবা বাঁশ পুরোনো হয়ে ভেঙে যায়। তখন তো এখান দিয়ে যাতায়াতই করা যায় না।

এ বিষয়ে চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ বলেন, এখানে একটু সেতু খুবই জরুরি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি। কিন্তু আজও এর কোনো সুরাহা হয়নি। এখানে সেতুর অভাবে হাজার হাজার জনগণ কষ্ট করছে। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যেন দ্রুত এখানে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমি অনেকদিন ধরেই এখানে একটা সেতুর চেষ্টা করছি। আগে বেশ কয়েকবার প্রকল্প দিয়েছি। কিন্তু হয়নি। এবার নতুন করে আবার প্রকল্প দিয়েছি। আশা করি, খুব দ্রুত সেতুর অনুমোদন হয়ে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চুলা তৈরির সময় মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৭১ রাউন্ড গুলি

বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

যমুনা ব্যাংকে চাকরি, বয়স ৪৫ হলেও আবেদন

রাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

অবশেষে সুলাইমানিয়ার আকাশপথ খুলে দিল তুরস্ক 

বাস কাউন্টারে আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৬

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

ঐতিহাসিক আল-রাবিয়া মসজিদ আবার খুলে দেওয়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুগ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

১০

চবির দুই হল সংসদের ফল পুনর্গণনার ঘোষণা

১১

টিভিতে আজকের খেলা

১২

ঢাকার যেসব এলাকায় আজ মার্কেট বন্ধ 

১৩

চট্টগ্রামে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে ভবনে আগুন

১৪

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ, জানা যাবে যেভাবে

১৫

১৬ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

ঢাবির শোক দিবসে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন

১৭

চাকসুতে হল সংসদে বিজয়ী সাদিক কায়েমের ভাই আবু আয়াজ

১৮

চাকসুতে ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবিরের জয়

১৯

চাকসুতে ভিপি ও জিএস পদে শিবির, এজিএস পদে ছাত্রদল জয়ী

২০
X