চুরি যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ২১ টন ভুট্টা ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, সলঙ্গা ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ সার্কেল) বিনয় কুমার।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে ট্রাকচালক মো. রতন হোসেন (২০), একই উপজেলার মেইন আলমপুর গ্রামের মো. আয়েন উদ্দিন শেখের ছেলে অপর ট্রাকচালক শরিফুল ইসলাম (৩০), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে ট্রাকের হেলপার সাগর হোসেন (২০), বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খন্দকার টোলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে ট্রাকের হেলপার মো. হাসান (৪২), শেরপুর সদরের হাসরা গ্রামের বাহাদুল্লাহ মণ্ডলের ছেলে দুলাল মণ্ডল (৫৪), একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হুদা (২৪), শেরপুরের উত্তর শাহ পাড়া গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান মনির (৩৮), বগুড়ার ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ি গ্রামের মতলেব আলীর ছেলে মো. হাসান (২৬) ও সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বাকাই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মো. মতিন (৩৫)।
বিনয় কুমার জানান, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের ডটার রাইস মিলের মালিক মো. মাহমুদ হাসান রাজু, চালক শরিফুলের কাভার্ডভ্যানযোগে গাজীপুরের কোয়ালিটি ফিড কোম্পানিতে সাড়ে ২১ টন ভুট্টা পাঠিয়ে দেন; কিন্তু ৩১ জুলাই সকালেও কাভার্ডভ্যানটি গন্তব্যে পৌঁছায় না। ভুট্টার মালিক কাভার্ডভ্যান চালক শরিফুলকে ফোন দিলে সেটা বন্ধ পান। এরপর গাড়িটির মালিক জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে জানতে পারেন কাভার্ডভ্যানটি সলঙ্গা উপজেলার নাইমুড়ী এলাকায় রয়েছে। বিষয়টি সলঙ্গা থানায় জানালে পুলিশ কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করে। এ ঘটনায় ১ আগস্ট সলঙ্গা থানায় মামলা হয়।
মামলার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে ট্রাকচালক শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে অভিযান চালিয়ে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শেরপুর থানা এলাকা থেকে চোরাই ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন