ফেনীতে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম পেয়ার আহমেদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের উত্তর জাহানপুর গ্রামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। এ ছাড়া তার দোকান ও বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। নাম প্রকাশ না করে নিহতের এক স্বজন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পেয়ার আহমদ (৪৬) ও তার ছেলে কাউসার আহমদসহ (২০) তাদের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাত-আট জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে। মারধরের একপর্যায়ে তাদের পাশের পরিত্যক্ত একটি খামারে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে ছেলে কাউছার কৌশলে পালিয়ে গেলেও পেয়ার আহমদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়।
খবর পেয়ে স্বজন ও গ্রামের লোকজন মঙ্গলবার বিকেলে ওই খামারে গিয়ে পেয়ারের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। পেয়ার আহম্মদদের ছেলে কাউছার বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্র জানায়, পেয়ার আহমেদ সদর উপজেলার ইউনিয়নের উত্তর জাহানপুর গ্রামের একজন আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলেন। গ্রামে তার বাড়ির সামনে একটি ছোট্ট দোকান ছিল।
উল্লেখ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে গত তিন দিনে এই নিয়ে ফেনী সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নে ৩ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মী নিহত হয়েছেন।