ফেনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়িতে যারা হামলা করছে, তারা ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গেই ছিল। এখন ভোল পাল্টিয়ে নানা অঘটন ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। বিএনপি এসব ভাঙচুর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনো নেতাকর্মী যদি ভাঙচুর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হন, তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) শহরের ইসলামপুর রোডস্থ ফেনী জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কষ্টের পর প্রাণ ফিরে এসেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। এ আনন্দ উদযাপনের সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে একটি পক্ষ। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে ফেনীর প্রত্যন্ত এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা-বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়েছে। জনরোষের ভয়ে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মা রয়ে গেছে। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনই আত্মহারা হওয়ার কিছু নেই। দেশে সর্বদলীয় অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন হবে। বিএনপি ব্যালটের মাধ্যমে সেটি প্রমাণ করবে, বুলেটের মাধ্যমে নয়।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের সঞ্চালনায় এ সময় জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, এম এ খালেক, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, ফেনী সদর উপজেলা আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, ফেনী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।