টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাঙ্গাইলে হাওদা বিলে ফাটা ব্রিজে ভোগান্তি লক্ষাধিক মানুষের

হাওদা বিলের একই সীমানা হওয়ায় দুটি ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা জায়গা। ছবি : কালবেলা
হাওদা বিলের একই সীমানা হওয়ায় দুটি ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা জায়গা। ছবি : কালবেলা

টাঙ্গাইলে দুটি ইউনিয়নের শেষ সীমানায় হাওদা বিলে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। হাওদা বিলের একই সীমানা হওয়ায় দুটি ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা থাকে। যার ফলে স্থানীয়দের কাছে ব্রিজটির নাম হয় ফাটা ব্রিজ। আর এই ফাটা ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ পারাপার হয়। এতে দুই ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা থাকায় ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ও কুড়াগাছা ইউনিয়নের গাছাবাড়ির হাওদা বিলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এই দুটি ব্রিজ নির্মাণ করে। সরেজমিন দেখা যায়, এই হাওদা বিলের ওপর দিয়ে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সেগুলোর দুপাশেই কাঁচা রাস্তা।

লাল মাটির এলাকা হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তা দিয়ে পারাপার হওয়া কষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া ব্রিজ দুটির মাঝখানে মাটি ভরাট থাকে। একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে কাদায় পরিণত হয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারে না। এদিকে ভরাট মাটি নিচের দিকে সরে যাওয়ায় ছোট ছোট যানবাহন পারাপার করতে পারছে না।

মালিবাজার, চাঁপাইদ বাজার, অরণখোলা বাজার, কালার বাজার, গাছাবাড়ি, আমিরতলা, ঘুঘুর বাজার, ঘুটিয়া বাজার ও পিরোজপুর বাজারে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে। এ ছাড়া ব্রিজের দুপাশেই দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শত শত ছাত্রছাত্রীর যাতায়াত রয়েছে।

স্থানীয় ফারুক আহমেদসহ কয়েকজন জানান, ব্রিজ দুটির সংযোগ স্লিপ এক করতে দেননি কুড়াগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার জন্যই এটি হয়েছে। এখন তিনি পালিয়ে থাকেন। তিনি আরও জানান, ব্রিজের নেমপ্লেট ছিল। সুপরিকল্পিতভাবে দুটি ব্রিজের নেমপ্লেট খুলে নিয়ে গেছে। মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক জানান, ব্রিজ দুটি প্রায় তিন বছর হলো দুর্যোগপূর্ণ ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান হিসেবে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলে জায়গা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। এটি দুটি ইউনিয়নের মানুষের কথা ভেবেই হাওদা বিলে একই জায়গায় দুটি ইউনিয়নের সীমানায় পড়ে। প্রতিটি ব্রিজে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার ব্যয়ে তৈরি করা হয়। তিনি আরও জানান, সাধারণ মানুষ জানে না, এটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাজ না এটি করেছে স্থানীয় পিআইও। তাদের টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। স্থানীয় পিআইওর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমি সবেমাত্র এই এলাকায় যোগদান করেছি। সরেজমিনে জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। এই উপজেলায় জনগণের সব ধরনের ভোগান্তি দূর করার চেষ্টা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৯০ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ

বাতের ব্যথার ধরন, উপসর্গ ও যত্ন জানালেন বিশেষজ্ঞ

ইসরায়েলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মিসর ও কাতারসহ ৮ মুসলিম দেশের

আপনার জিমেইল হ্যাকড হয়েছে কিনা যাচাই করুন এখনই

কর্মসূচি স্থগিত, বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

নতুন কোচ নিয়োগ দিল ঢাকা ক্যাপিটালস

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে : ডা. জাহিদ

খালেদা জিয়াকে নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান ডা. জাহিদের

অপু-সজলের ‘দুর্বার’

বাংলাদেশে আমরা ভিন্নমতকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

১০

শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে: জয়শঙ্কর

১১

ঢাকাবাসী জাপান ওয়ার্ল্ডের উদ্যোগে রাজধানীতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

১২

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা

১৩

মেঘনা ব্যাংকের এমডি হলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান 

১৪

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে প্রথম জাতীয় আইন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৫

বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল

১৬

নদীতে ডুবে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

১৭

নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

১৮

শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, অভিযুক্তকে যে শাস্তি দিল এলাকাবাসী

১৯

কার্টনের ভেতর পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত পা

২০
X