সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাঙ্গাইলে হাওদা বিলে ফাটা ব্রিজে ভোগান্তি লক্ষাধিক মানুষের

হাওদা বিলের একই সীমানা হওয়ায় দুটি ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা জায়গা। ছবি : কালবেলা
হাওদা বিলের একই সীমানা হওয়ায় দুটি ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা জায়গা। ছবি : কালবেলা

টাঙ্গাইলে দুটি ইউনিয়নের শেষ সীমানায় হাওদা বিলে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। হাওদা বিলের একই সীমানা হওয়ায় দুটি ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা থাকে। যার ফলে স্থানীয়দের কাছে ব্রিজটির নাম হয় ফাটা ব্রিজ। আর এই ফাটা ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ পারাপার হয়। এতে দুই ব্রিজের মধ্যে ফাঁকা থাকায় ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ও কুড়াগাছা ইউনিয়নের গাছাবাড়ির হাওদা বিলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এই দুটি ব্রিজ নির্মাণ করে। সরেজমিন দেখা যায়, এই হাওদা বিলের ওপর দিয়ে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সেগুলোর দুপাশেই কাঁচা রাস্তা।

লাল মাটির এলাকা হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তা দিয়ে পারাপার হওয়া কষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া ব্রিজ দুটির মাঝখানে মাটি ভরাট থাকে। একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে কাদায় পরিণত হয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারে না। এদিকে ভরাট মাটি নিচের দিকে সরে যাওয়ায় ছোট ছোট যানবাহন পারাপার করতে পারছে না।

মালিবাজার, চাঁপাইদ বাজার, অরণখোলা বাজার, কালার বাজার, গাছাবাড়ি, আমিরতলা, ঘুঘুর বাজার, ঘুটিয়া বাজার ও পিরোজপুর বাজারে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে। এ ছাড়া ব্রিজের দুপাশেই দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শত শত ছাত্রছাত্রীর যাতায়াত রয়েছে।

স্থানীয় ফারুক আহমেদসহ কয়েকজন জানান, ব্রিজ দুটির সংযোগ স্লিপ এক করতে দেননি কুড়াগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার জন্যই এটি হয়েছে। এখন তিনি পালিয়ে থাকেন। তিনি আরও জানান, ব্রিজের নেমপ্লেট ছিল। সুপরিকল্পিতভাবে দুটি ব্রিজের নেমপ্লেট খুলে নিয়ে গেছে। মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক জানান, ব্রিজ দুটি প্রায় তিন বছর হলো দুর্যোগপূর্ণ ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান হিসেবে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলে জায়গা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। এটি দুটি ইউনিয়নের মানুষের কথা ভেবেই হাওদা বিলে একই জায়গায় দুটি ইউনিয়নের সীমানায় পড়ে। প্রতিটি ব্রিজে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার ব্যয়ে তৈরি করা হয়। তিনি আরও জানান, সাধারণ মানুষ জানে না, এটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাজ না এটি করেছে স্থানীয় পিআইও। তাদের টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। স্থানীয় পিআইওর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমি সবেমাত্র এই এলাকায় যোগদান করেছি। সরেজমিনে জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। এই উপজেলায় জনগণের সব ধরনের ভোগান্তি দূর করার চেষ্টা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোনারগাঁয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

মা ইলিশ রক্ষায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির মাদকবিরোধী আলোচনা সভা

নিউমার্কেটে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

১০

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

১১

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

১২

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

১৩

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১৪

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১৫

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১৬

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৭

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

১৮

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৯

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

২০
X