বাংলাদেশ পুলিশের ৪০তম সাবইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) এবং ২৬তম সার্জেন্ট নিয়োগের সব ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ভেরিফিকেশনে নিয়োগবঞ্চিত প্রায় ৫ শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এতে ভাইভা প্রার্থীদের পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে চাকরিতে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেলের (আইজিপি) সঙ্গে দেখা করে তাদের কর্মসূচি শেষ করবেন বলে জানান। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বরাবর এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের ৪০তম সাবইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর ২৬তম সার্জেন্ট নিয়োগ পাওয়ার জন্য প্রিলিমিনারি স্কিনিং, শারীরিক মাপ এবং যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইসহ ৭ ইভেন্টে যথাযথভাবে মেধার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। এ ছাড়া কম্পিউটার, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভাইভা দেওয়ার সময়ে বাড়িঘর এবং পরিচয় শনাক্তের জন্য তদন্ত করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই সময়ে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং চাহিদামতো ঘুষ দিতে না পারায় তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে গোলাম রইসুল পান্না কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা মেধার ভিত্তিতে চাকরি চেয়েছিলাম। এজন্য যতগুলো ধাপ পার করতে হয় সব যোগ্যতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছি। সর্বশেষ আমাদের দলীয় পরিচয় না থাকা এবং টাকা দিতে না পারায় আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের নিয়োগবঞ্চিত করেছে। এ ছাড়া যাদের দলীয় পরিচয় পাওয়া গেছে তারা বর্তমানে পুলিশের ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। বর্তমানে আমাদের এ নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের বৈষম্য দূর হয়েছে; এ সময় আমরা আমাদের পূর্বের সব ভাইভা প্রার্থীদের পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি বর্তমান সরকারের কাছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের এডিশনাল আইজিপি আমজাদ হোসেন রিক্রুটিং কমিটির সদস্য আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য খবর পাঠিয়েছেন। আমরা সরাসরি আইজিপি স্যারের সঙ্গেই কথা বলব কারণ এই আমজাদ হোসেন সাহেব তখন এ নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন।
মন্তব্য করুন