কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ৭নং এতবারপুর ইউনিয়নের ওয়ারিশ হাজী বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেটে বর পক্ষের দেওয়া টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছে। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে কনেপক্ষের লোকজন দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাকবিতণ্ডা, মারামারি এমনকি কনের বাড়ি-ঘর পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় কনের দাদি ছায়েরা বেগম (৫৮) গুরুতর আহত হয়ে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এতবারপুর ইউনিয়নের ওয়ারিশ হাজি বাড়িতে মো. খোকন মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছায়েরা বেগম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই চান্দিনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে, ফাতেমার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বর-কনের বিদায়ের পর ওই মারামারির ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার নূরিতলা গ্রামের আরাফাতের সঙ্গে ফাতেমার বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর আগে বিয়ের গেটে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী বাচ্চাদের জন্য কিছু টাকা দেয় বরপক্ষ। সেই টাকা নিয়ে কনের পার্শ্ববর্তী ঘরের খুশি আক্তার (১৮) নামের একজন এককভাবে ওই টাকা নিয়ে যেতে চায়। তাই নিয়ে বাকবিতণ্ড ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে খুশির পরিবারের লোকজন কনের বাবার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। কনের দাদিকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় খুশির বাবা আবুল হোসেন, ভাই কেফায়েত উল্লাহ, বিল্লাল হোসেন, নাজমুল, নাইমুলসহ ৮ জনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন