কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ এএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

লোডশেডিং ‘ভুতুড়ে’ বিলে বিপাকে পটুয়াখালীর গ্রাহকরা

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ছবি : সংগৃহীত
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ছবি : সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাসাবাড়িতে, কলকারখানায় ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। ত্রুটিপূর্ণ ওই বিল সংশোধনের জন্য এখন তাদের স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ধরনা দিতে হচ্ছে। একদিকে ঘনঘন লোডশেডিং অন্যদিকে ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া থানায় গ্রাহকের সংখ্যা ৪৫-৫০ হাজার। গ্রাহকদের অভিযোগ, উপজেলাজুড়ে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং থাকায় তুলনামূলক বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হয়েছে। তবুও দুই মাস ধরে দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বিদ্যুৎ বিল আসছে। লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলে ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিল সংশোধনের অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছন। ভুতুড়ে বিল প্রসঙ্গে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব জোনাল অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। উল্টো অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বোঝাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সঙ্গে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করে পৌরসভার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান খান বলেন, মে মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ১ হাজার ১৮৬ টাকা, জুলাই মাসে ১ হাজার ৯৩৫ টাকা। আগস্টে আমাদের এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ লোডশেডিং ছিল, অথচ এ মাসে বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক ৩ হাজার ২৭৮ টাকা। বিদ্যুৎ যেখানে ঠিকমতো পাওয়া যায়নি, সেখানে এমন অস্বাভাবিক বিল কীভাবে হয়।

কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল এ জি এম মো. ইমরান শেখ বলেন, গ্রাহক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সেভাবেই বিলও তৈরি হয়। অতিরিক্ত বিল নেওয়া কোনো সুযোগ নেই। মৌখিকভাবে বেশি কিছু অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয় ‘স্পিড’, কবে কোথায় প্রভাব ফেলবে

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

১০

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১১

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১২

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১৩

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৪

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১৫

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১৬

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১৭

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৮

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৯

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

২০
X