তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুই প্রতিবন্ধীকে নিয়ে বৃদ্ধা জোবেদার মানবেতর জীবনযাপন

নিজ ঘরের সামনে বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন। ছবি : কালবেলা
নিজ ঘরের সামনে বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন। ছবি : কালবেলা

স্বামীর মৃত্যুর পর জোর করে সব সম্পত্তি লিখে নেন ছেলেরা। বিয়ে দেওয়ার পরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন এক মেয়ে। আরেক মেয়ের এক সন্তান মানসিক প্রতিবন্ধী। সেই প্রতিবন্ধী সন্তানকে ফেলে গেছেন বৃদ্ধা মায়ের কাছে।

মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে ও শারীরিক প্রতিবন্ধী নাতনিকে নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন।

মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় কোনো রকমে দিন কাটছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের ভোগোলমান গ্রামের জোবেদা খাতুনের (৮০)।

জানা গেছে, বৃদ্ধার স্বামী ওয়াহেদ আলী ছিলেন অনেক সম্পদের মালিক। ২০০১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেরা সব সম্পত্তি লিখে নিয়ে মায়ের আর খোঁজ রাখেনি। এরপরই অন্ধকার নেমে আসে বৃদ্ধা জোবেদার ঘরে। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরে আসলে শুরু হয় নতুন সংগ্রাম। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে ফলাফল না পেয়ে মেয়েকে ঘরে শিকলবন্দি করে রাখেন। এদিকে আরেক মেয়ের সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকেও রেখে গেছে জোবেদা খাতুনের কাছে। যেখানে অনাহারে নিজের টিকে থাকায় দায় সেখানে বাড়তি দুই প্রতিবন্ধী নিয়ে অকূল পাথারে পড়েছেন আশি বছরের এ বৃদ্ধা। কেউ সাহায্য করলে জোটে খাবার, নইলে থাকতে হয় অনাহারে।

এ দিকে জোবেদা খাতুনের এক ছেলে মো. শাজাহান আলী গত দুই বছর হলে মারা গেছেন। তার আরেক ছেলে মো. আলম সরকার কোনো খোঁজখবর নেন না। জোবেদা খাতুনের নিজস্ব কোনো জায়গা জমিও নেই। যে ঘরটিতে থাকেন তাও বৃষ্টি হলে হয়ে পড়ে থাকার অনুপযোগী।

জোবেদা খাতুন বলেন, বাবারে আমি আর পারছি না। নিজেই চলতে পারছি না। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। সে ভাতার টাকায় সংসারের খরচ চলে না। ওই টাকায় মাসের ২০ থেকে ২২ দিন চলে। বাকি দিনগুলো গ্রামের অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে চেয়ে খেয়ে না খেয়ে পার করতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, আমি চেষ্টা করব যেন তারা দ্রুত আর্থিক সহায়তা পান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাইকে ঘোষণা দিয়ে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি বুধবার

ড্রাগন ফলে ‘টনিক’ চেনার উপায় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি জানুন

প্লট দুর্নীতি / শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে আরও ৬ জনের সাক্ষ্য

এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ

মেসির অবসরের জন্য কেউ প্রস্তুত নয়, দাবি সাবেক সতীর্থের

ভারতের শুল্ক কমানো নিয়ে ট্রাম্প বললেন, দেরি হয়ে গেছে

প্রথম বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আইআইএর একাডেমিক প্রোগ্রামে যোগদান

এসএমসি সেনসেশন কনডমের ডিজিটাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সালমান মুক্তাদির

‘অদৃশ্য শক্তি’ নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে : গয়েশ্বর

১০

এনসিপি নেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস

১১

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত নেই ফার্স সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের

১২

চোখের সামনেই ডুবে গেল কৃষকের স্বপ্ন

১৩

বাকৃবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ ও ব্যাংকে তালা

১৪

দল বদলের শেষ দিনে যা ঘটেছিল এমি মার্টিনেজের সাথে

১৫

না ফেরার দেশে ফুটবল দলের অধিনায়ক

১৬

স্ট্যাটাস দিই, আর গালি শুনি, অনেকে ভয়ও দেখায়: জয়

১৭

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ভারী বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায় 

১৮

দৈনন্দিন যে ৫ ভুলে নীরবে বেড়ে যাচ্ছে টাকের ঝুঁকি

১৯

উত্তরা ইপিজেডে কারখানা বন্ধের জেরে সংঘর্ষ, শ্রমিক নিহত

২০
X