চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় দোকানপাট ও বাসা বাড়ি থেকে দুই দিনেও পানি নামেনি। টানা জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
এসব এলাকার মতো নগরের বহদ্দারহাটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির উঠান ও সামনের সড়কেও দ্বিতীয় দিনের মতো পানি জমেছিল। এ অবস্থায় মেয়র মূল সড়ক থেকে তার বাড়ির আঙ্গিনা পর্যন্ত যান রিকশায় চড়ে। পানি থেকে বাঁচতে মেয়রের রিকশায় চড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে এ ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা প্রায় হাঁটু সমান পানিতে ডুবে আছে। মেয়রকে বহনকারী একটি রিকশা সেই পানি পেরিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। মেয়রের রিকশার পাশে ও পেছনে লোকজন ছিলেন। একজনকে ছাতা ধরে থাকতে দেখা যায়।
এসময় মেয়র রেজাউলকে হাস্যজ্জল ভঙ্গিতে রিকশায় বসে থাকতে দেখা যায়। নগরের টাইগারপাসে নগর ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরার পথে এ অবস্থা সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেল মেয়রের বাড়ি!
নগরে জলাবদ্ধতার জন্য সিডিএকে ইঙ্গিত করে মেয়র রেজাউল সাংবাদিকদের বলেন, নগরের চাক্তাই খালে মাটি উত্তোলন হয়েছে কি হয়নি আপনারা দেখেন, বির্জা খালে মাটি উত্তোলন হয়ে কি না দেখেন। এগুলো তো দৃশ্যমান জিনিস। পানিগুলো যাবে কোন দিকে? কাজেই রাস্তার ওপর এটা গড়াবে। এ মুহূর্তে আমার দাবি হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে খাল খনন করতে হবে। এক কথায় মাটি উত্তোলন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার (৪ আগস্ট) টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরীতে। ওইদিন সকাল থেকেই মেয়র রেজাউলের বাড়ি ও সড়ক ডুবে যায় হাঁটু পানিতে। সঙ্গে পানিতে তলিয়ে যায় মেয়র রেজাউলের এলাকা বহদ্দারহাট, চান্দগাঁওসহ চট্টগ্রামের অধিকাংশ নিচু এলাকা।
এদিকে চট্টগ্রাম আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভোর ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বসের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন