কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রেমিকাকে ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন মুন্না

তারেক হাসান মুন্না। ছবি : সংগৃহীত
তারেক হাসান মুন্না। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাসে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক তরুণীর ছয় টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিক তারেক হাসান মুন্নাকে আটক করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাউছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মুন্না জানান, জান্নাত তার চাচাত বোন। তাদের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালে তিনি বিদেশ চলে যান এবং ২০২২ সালে দেশে ফিরলে জান্নাত বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। এক মাস পর তিনি আবার বিদেশ চলে যান। তিনি বিদেশ থাকা অবস্থায় জানতে পারেন, জান্নাতের অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশ্ন করার পর জান্নাত মুন্নার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

মুন্না বলেন, এক বছর পর ২০২৩ সালে আবার দেশে আসি। আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে পরিবার। জান্নাত তখন আমার সঙ্গে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করলে বিয়ে না করে আবার বিদেশ চলে যাই। ২০২৪ সালে আবার দেশে আসি এবং অন্যত্র বিয়ে করি। তখন জান্নাত খবর পেয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমাকে সুখে থাকতে দেবে না। মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকে আমাকে দেখে নেবে এবং আমার স্ত্রীকে সব জানাবে। তার এমন কথায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি। তখন আমার মাথায় আসে আমি জান্নাতকে বিষয়টি বুঝাব, না হলে মেরে ফেলব।

৫ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন দিয়ে জান্নাতকে বলি আমার সঙ্গে দেখা করতে, সে আমাকে বলে গৌরীপুর বাজারে দেখা করবে। বেলা ১১টায় গৌরীপুর বাজারে দেখা করি এবং আমাকে রেখে দেড় ঘণ্টা অন্যত্র চলে যায়। দেড় ঘণ্টা পর আমাকে ফোন দিলে আমরা একসঙ্গে সিএনজি দিয়ে হোমনা চলে যাই, হোমনা ব্রিজে ঘোরাফেরা করি। সন্ধ্যায় সিএনজি দিয়ে আমরা কাঁঠালিয়া গ্রামে যাই। সেখানে একটি ব্রিজে অনেকক্ষণ সময় কাটাই। রাত হয়ে গেলে আমি জান্নাতকে বোঝাতে থাকি, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে সুখী হও, আমাকেও সুখে থাকতে দাও। এতে জান্নাত রাজি হয়নি। তখন আমি তার হাতে পায়ে ধরে বোঝাই, সে আমাকে লাথি মারে।

মুন্না আরও বলেন, একপর্যায়ে আমার ব্যাগে থাকা ডাব কাটার দায়ের উল্টো দিক দিয়ে তার মাথায় বাড়ি দিই। পরে কয়েকটা কোপ দিয়ে মাথা আলাদা করে ফেলি। তারপর দুই হাত, দুই পা কেটে আলাদা করে সব কাটা টুকরোগুলো নদীতে ফেলে দিই। পরে মাটিতে লেগে থাকা রক্ত আমার সঙ্গে থাকা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলি এবং পরনের গেঞ্জি ও সঙ্গে থাকা দা, ব্যাগ নদীতে ফেলে দিই।

উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর সকালে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৫) অপহরণ করেন মুন্না। এ ঘটনায় জান্নাতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে মুন্নাসহ সাতজনকে আসামি করে ৯ সেপ্টেম্বর তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বাড়ির সবাইকে বলেছিলাম দ্রুত সরতে, ফিরে দেখি কিছুই নেই’

ফেসবুকে কথাকাটাকাটি, টেঁটা-বল্লম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ  

রাজধানীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শ্রমিক মৃত্যু

প্রাথমিকে বড় নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার 

জবিতে জন্মাষ্টমী উদযাপন

জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল

ছাত্রদলের ৭ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, একজনকে অব্যাহতি

স্বপ্নে নিজের মৃত্যু দেখলে কী হয়? যা বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

বিভিন্ন প্রকল্পে এক বছরে সাশ্রয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের নবম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি 

১০

রাশিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১১, আহত ১৩০

১১

বাল্কহেডে ডাকাতি, হাতে ককটেল বিস্ফোরণে ডাকাত নিহত

১২

বিশ্লেষণ / কেন আফগানিস্তানেই নজর চীন, ভারত ও পাকিস্তানের?

১৩

বাংলার ইতিহাস সহাবস্থানের ইতিহাস, সম্প্রীতির ইতিহাস : নাহিদ

১৪

ধর্ষণে ১৩ বছরের কিশোরী নিহত, কিশোর গ্রেপ্তার

১৫

স্বাধীনতাকে রক্ষা করা সবার পবিত্র দায়িত্ব : বিমানবাহিনী প্রধান 

১৬

নির্বাচন ভণ্ডুল করতে পরাজিত আ.লীগ ষড়যন্ত্র করছে : গয়েশ্বর

১৭

২১০ জনকে নিয়োগ দেবে সিভিল সার্জনের কার্যালয়, এসএসসি পাসেই আবেদন

১৮

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যত দুর্বল হবে, বিশ্ব তত নিরাপদ হবে : আনু মুহাম্মদ

১৯

অসুস্থ হাতির চিকিৎসায় গিয়ে আহত দুই চিকিৎসক

২০
X