সরকারি সম্পত্তি লুট ও আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরও পড়ুন : গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত চিঠিতে জামালপুরের জেলা প্রশাসককে স্থানীয় সরকার আইন (পৌরসভা) ২০০৯-এর ৩৮ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোপূর্বে গত ৭ জুন মেয়র আবদুল কাদের সেখকে কেনো মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে গত ১২ জুন কালবেলা ডিজিটালে লুটপাটে রেকর্ড করলেন জামালপুরের পৌর মেয়র শিরোনামে খবর প্রচারিত হয়।
সেখানে বলা হয়েছিল, মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর বিধান লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ এবং নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার পূর্বেই ঠিকাদারকে বিল প্রদানের অভিযোগের সত্যতা মিলায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ২০০৯ এর ৩২(১) এর খ এবং ঘ ধারা অনুযায়ী কেনো তাকে মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন : সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে ১৪ দিন মতামত নেবে সরকার জানা গেছে, প্রথমবার ২০১০ সালে মেয়র হয়েই ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশ জুট করপোরেশন (বিজেসির) গুদামের জায়গা দখল করে মালামাল সরিয়ে নেয়, তারপর দ্রুত সেখানে মার্কেট তৈরি করে ৪২টি দোকান ঘরভাড়া দেয়। জামানত হিসেবে প্রতি দোকান মালিকের নিকট থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং মাসিক দুই হাজার টাকা ভাড়া নিতে থাকে। অন্যসব কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সড়ক বাতির টেন্ডার আহ্বান করে, নিজের লোককে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়। ৬৫ লাখ টাকায় ১২৪টি সড়ক বাতি স্থাপনের কথা থাকলেও ১১৯টি বাতি স্থাপন করা হয়। পুরো কাজ সঠিকভাবে না করলেও ঠিকাদারকে চূড়ান্ত বিল প্রদানের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
দায়িত্ব পালনে স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ করে পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন লেবু এবং অন্য ১০ কাউন্সিলরের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের জামালপুরের উপপরিচালককে এ বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলে।
দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয় জানতে আব্দুল কাদের সেখকে ফোন দিয়ে রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ কালবেলাকে জানান, আমি এইমাত্র চিঠি হাতে পেয়েছি। আমাকে প্রথম শ্রেণির কর্মকতা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব, আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মন্তব্য করুন