বগুড়া ব্যুরো ও গাবতলী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আন্দোলনে নিহত শ্রমিক দল নেতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জিল্লুর রহমানের মরদেহ সাড়ে তিনমাস পর কবর থেকে উত্তোলন। ছবি : কালবেলা
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জিল্লুর রহমানের মরদেহ সাড়ে তিনমাস পর কবর থেকে উত্তোলন। ছবি : কালবেলা

বগুড়ায় আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শ্রমিক দলের নেতা জিল্লুর রহমানের মরদেহ সাড়ে তিনমাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গাবতলী উপজেলার গোড়দহ উত্তরপাড়া এলাকা থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক তরিকুলসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত শ্রমিক দলের নেতা জিল্লুর সরদারের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গোড়দহ উত্তরপাড়া গ্রামে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ বলেন, আদালতের নির্দেশে জিল্লুর রহমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে আবারও যথাযথ পদক্ষেপে দাফন করা হবে।

জিল্লুরকে হত্যার অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী খাদিজা বেগম। মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, সাবেক তথ্য ও স¤প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০ জনকে। মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন মন্ত্রী, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও দলের শীর্ষ নেতাদের হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বগুড়া শহরের প্রধান সড়কে ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর রিভলবার, পিস্তল, বন্দুক ও আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় ককটেল ও পেট্রলবোমা হামলাও হয়। ছাত্র-জনতার মিছিলে ছিলেন শ্রমিক দলের নেতা জিল্লুর সরদার। হামলায় ছাত্র-জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়াতে থাকলে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে জিল্লুর সরদারকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুলি জিল্লুরের বুকে লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

গাবতলী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি রায় তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে জিল্লুরকে গুলি করেন। পরে স্থানীয় লোকজন জিল্লুরকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতার দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

বিতর্কে জড়ালেন অনীত পাড্ডা

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পেছাল 

জাতপাত বিলোপ জোটের আত্মপ্রকাশ

সমাবেশের অনুমতি ছিল না, জানালেন জাপা মহাসচিব

চাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে ফের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

যে শহরে ২ ঘণ্টার বেশি ফোন ব্যবহার মানা

বিপিএলে দেখা যেতে পারে নোয়াখালী দল

‘শিশুদের নোবেল’ পুরস্কারে জন্য মনোনীত রাজশাহীর মুনাজিয়া

তরুণ প্রজন্মই আগামীর বাংলাদেশ : শরীফ উদ্দিন জুয়েল

১০

ঘর আর নেই, তবু ঘরে ফিরছে গাজাবাসী

১১

বাসায় বানিয়ে ফেলুন চকোলেট-কফির মজাদার মোকা কেক

১২

লালবাগ কেল্লায় গ্রুপ মেডিটেশন ও ইয়োগার আয়োজন

১৩

ট্রফি না দেওয়ায় নকভির চাকরি খেতে চায় বিসিসিআই

১৪

গুম হওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ

১৫

আকিজ বেকার্স লিমিটেডের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স উদযাপন

১৬

তারেক রহমান ক্ষমতায় গেলে ফ্যামিলি কার্ড করবেন : মাহবুবুর রহমান 

১৭

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে তারেক রহমানের বার্তা

১৮

স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষায় মানুন এই ৫ নিরাপত্তা টিপস

১৯

নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নই হবে আগামীর বাংলাদেশের শক্তি : মীর হেলাল

২০
X