রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা বেড়ে জট হয়ে গেছে। এতে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে কাপ্তাই হ্রদের আপস্ট্রিম জেটিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দ্রুত বর্ধনশীল কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে হ্রদের একটি অংশ। ফলে কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে বিলাইছড়ি ও রাঙামাটি পথে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
ইঞ্জিনচালিত নৌকা কচুরিপানার জটে আটকা পড়ে পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নৌ চলাচল সীমিত করা হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
কাপ্তাই জেটিঘাটের নৌকাচালক রহমান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার জট হওয়ায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কাপ্তাই-বিলাইছড়ি পথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, গত বুধবার একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জেটিঘাট থেকে বিলাইছড়ি যাচ্ছিল। মাঝপথে কচুরিপানায় আটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত গন্তব্যস্থলে না গিয়ে পেছনে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
এদিকে কাপ্তাই জেটিঘাটের আরেক নৌকাচালক জুয়েল চাকমা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির কারণে চারদিক থেকে কচুরিপানা এসে এক স্থানে জমা হয়। জেটিঘাট ব্যবসায়ী কেন্দ্র, কার্গো, জেলেপাড়া, সোয়া মিলসহ বিভিন্ন অংশে কচুরিপানা বেশি।
কাপ্তাই বোট মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিন বুলবুল বলেন, ‘বর্তমানে কচুরিপানার জটলাতে পড়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পাঁচ মিনিটের বদলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অপরদিকে নৌকাচালকদের আয় কমে গেছে।’
এ বিষয়ে ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, ‘কচুরিপানার জটের কারণে এলাকার লোকজনের ক্ষতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি পরিবার হ্রদে আটকে পড়ায় বহু কষ্ট করে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ইতিমধ্যে পিডিবি কর্তৃপক্ষ কিছু কচুরিপানা অপসারণ করেছে। আরও অপসারণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন