বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সাত দিনেও উদ্ধার হয়নি। প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ট্রলারটি খুঁজে না পেয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন এটির মালিক মো. দিদার হোসেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকায়।
জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রাতে মাছ শিকারে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের অদূরে কালিরচরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছয় দিন অতিবাহিত হলেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ট্রলারটির।
ট্রলারটির মাঝি হান্নান কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বিগত দিনের মতো গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে ১৮ জন মাঝিমাল্লাসহ আমরা মাছ শিকারের উদ্দেশে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে চট্টগ্রামের অদূরে কালিরচরে পৌঁছালে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে জালসহ ট্টলারটি ডুবে যায়। এসময় উত্তাল সাগরে আমরা সাহস করে নানাভাবে বাঁচার লড়াই করে যাচ্ছিলাম। ভাসমান অবস্থায় আমরা একরাত অতিবাহিত করার পর সাগরে অন্য একটি ট্রলার এসে আমাদের উদ্ধার করে। এ সময় আমাদের ট্রলারটি কোথায় তলিয়ে গেছে আমরা জানি না। আমরা অনেক কষ্টে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছি। ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ট্টলারটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। ট্রলারের মালিক দিদার জানান, গত শুক্রবার রামগতির বিবিরহাট সংলগ্ন জমির মেম্বারের ঘাট থেকে সাগরের উদ্দেশে ওই নিখোঁজ ট্রলারটি যাত্রা শুরু করে। আমার জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ওই ডুবে যাওয়া ট্রলারটির কোনো সন্ধান না পেয়ে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।
স্থানীয় বড়খেরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসান মাকছুদ মিজান বলেন, নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে মাছ শিকারে গভীর সমুদ্রে যাওয়া ট্রলারটি হঠাৎ ঢেউয়ের মুখে পড়ে নিখোঁজ হয়।
ট্রলারে থাকা ১৮ জেলে ফিরতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু একমাত্র সম্বল ট্রলারটি এখনও পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া জেলেরা তাদের ট্রলারটি পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমাদের পরিষদ থেকেও আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করছি।
মন্তব্য করুন