বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতে বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : কালবেলা

হাড় কাঁপানো শীতে বিশেষ করে দিনাজপুরের বিরামপুরসহ বেশ কিছু জায়গার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছেন। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে কলেরা স্যালাইন সংকটে পড়েছে হাসপাতালে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিরামপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকগুলো ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স সুপারভাইজার জুলেখা বেগম দৈনিক কালবেলাকে বলেন, প্রায় ৩ মাস ধরে কলেরা স্যালাইন, ক্যানোলা, টেপ এবং অন্যান্য ওষুধ সংকট চলছে। নভেম্বরের শুরু থেকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২৪৭ জন। এ ছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এদের মধ্যে বয়স্করা ৫-৬ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও শিশু ওয়ার্ডে এখনো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।

বিরামপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার রবিন বাদশার ছেলে ওসমান আহমেদ (১০ মাস) ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫ দিন আগে। এখনো তার চিকিৎসা চলছে। রবিন বাদশা জানান, হাসপাতাল থেকে কোনো কলেরার স্যালাইন পাননি। বাইরের দোকান থেকে কিনে নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।

উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের রুবেল মিয়ার শিশু কন্যা রওজাতুন জান্নাত (১৮ মাস) তিন ধরে শ্বাস কষ্ট, সর্দি জ্বর, কাশি নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে হাছান আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬৫) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিসকিনি গ্রামের মৃত ছামছুদ্দিনের স্ত্রী জিন্নাতুন বেওয়া (৯০) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তারা জানান, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট থাকায় বাইরে থেকে স্যালাইন আনতে হচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহরিয়ার কবির পারভেজ বলেন, আমি উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য বগুড়াতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম। হাসপাতালে যোগদান করার পরে দেখি অল্প কিছু কলেরা স্যালাইন ছিল। বর্তমানে কোনো স্যালাইনই স্টকে নেই। স্যালাইনের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ওষুধেরও সংকট রয়েছে। হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় রোগীদের বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন আনতে হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০ জিম্মির বিনিময়ে মুক্তি পাবে ১৯৫০ ফিলিস্তিনি বন্দি

বাংলাদেশ সফরের জন্য চমক রেখে শক্তিশালী দল ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের

সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

বাথরুমে একদম খোলামেলা গোসল করা কি জায়েজ?

বড়শি প্রতিযোগিতার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা

মাইকে ঘোষণা করে যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে দিচ্ছেন সাংবাদিকরা

সময়ের সঙ্গে চলচ্চিত্রে নারীদের অবস্থান বদলেছে: চিত্রাঙ্গদা সিং

বালু উত্তোলন করে নির্মাণাধীন সেতুতে ব্যবহার, প্রকৌশলীর কারাদণ্ড

নওগাঁর সাবেক এমপি ফারুক ঢাকায় গ্রেপ্তার

১৩ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল যে জেলায়   

১০

‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রাতে মাঠে নামছেন হামজা-জামালরা

১১

হানিয়ার পর বাংলাদেশে আসছেন আহাদ রাজা মীর

১২

সমুদ্রসৈকতে তিন দিন পড়ে ছিল বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন

১৩

কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

১৪

শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেল ১২ দপ্তরে

১৫

অভিনয় এখন আত্মপ্রদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে: সজীব

১৬

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

১৭

মালিবাগে শপিং মল থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরি

১৮

মারা গেলেন ৫০৯ ম্যাচ জেতা ফুটবলার

১৯

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির / ৭২ বছর বয়সে সেফ এক্সিটের কথা ভাবা দুঃখজনক

২০
X