কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতির পিতা রক্ত দিয়ে আরও বেশি ঋণী করে গেছেন : এরতেজা হাসান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। ছবি : কালবেলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। ছবি : কালবেলা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রক্ত দিয়ে আরও বেশি ঋণী করে গেছেন। তার রক্তের ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারব না বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য ডেইলি পিপলস্ টাইমের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি সকালে শহরের খুলনা রোড মোড়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন।

ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন- বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী, দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব ছিল বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণী। বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আরও বেশি ঋণী করে গেছেন। তার রক্তের ঋণ শোধ করতে পারব না। কাজের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারব। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় দিন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার কলঙ্ক বাঙালিকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বাঙালি জাতির জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, যিনি দেশকে স্বাধীনতা, একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হবে যেটা কেউ কখনো ভাবেনি। খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে, এমনকি শিশু রাসেলকে পর্যন্ত তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। পৃথিবীর কোনো ধর্ম, কোনো মানবিক মূল্যবোধ এই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন- বঙ্গবন্ধু কখনো হত্যা, ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা সমর্থন করেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে রক্ষা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে উন্নত দেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাই মিলে কাজ করব।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, ১৯৭১ সালে বৈদেশিক রিজার্ভ ছিল শূন্য৷ সে সময় অন্য দেশের সঙ্গে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি শুরু করে সরকার। পাট ও চামড়া ছিল বাংলাদেশের বিনিময় পণ্য। তবে ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় আজ দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯৭৩২.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। তাই এই উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

পরে বেলা সাড়ে ১১টায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় জেলা তাঁতী লীগের খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কাজী মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেনসহ তাঁতী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এরপর শহরের ইটাগাছা, কুখরালী, পার কুখরালী, চালতেতলা, গড়ের কান্দা, বদ্দিপুর কলোনি ও আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় যুব লীগের আয়োজনে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন- জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মারুফ হাসান, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন, পৌর যুবলীগের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আল জামান প্রমুখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা বহিষ্কার

বাংলাদেশের কাছে হেরে ‘হাস্যকর’ যুক্তি দেখাল ভারত অধিনায়ক

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় সতর্কতা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

আজও ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা 

ভারতকে হারানোর পর ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা জানা গেল

অলংকারে মুগ্ধ দর্শক

ডে কেয়ার সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক

টিভিতে আজকের যত খেলা

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প

১০

কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষে আহত ১৩ 

১১

প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনায়

১২

স্কুলে হামলা চালিয়ে ২২৭ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে অপহরণ

১৩

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৫

ঢাকা পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

১৬

শীতে ত্বকের যত্ন ও চর্মরোগ থেকে পরিত্রাণের উপায়

১৭

গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত: জাতিসংঘ

১৮

এইচএসসি পাসেই মেঘনা গ্রুপে চাকরির সুযোগ 

১৯

তিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২০
X